- হোম
- >
- ধর্ম ও জীবন
- >
- হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্।’ লাখো কণ্ঠের এই ধ্বনিতে এখন মুখরিত আরাফার ময়দান।
লাখো মানুষের স্রোত এখন আরাফা অভিমুখে। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পড়ে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে তারা ছুটছেন আরাফার দিকে। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহ বিরাজ করছে মক্কায়।
স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার পর মিনার উদ্দেশে রওনা দেন মুসল্লিরা। মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভের আশায় জিকির ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাবেন তারা। সেখানে হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসরের (জুহরাইন) নামাজ আদায় করবেন। সন্ধ্যায় মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবারও এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।
সৌদি সংবাদপত্রের হিসাবমতে এবার ২০ লক্ষাধিক হাজি হজ পালন করছেন। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৬ হাজার ৬০ জন হাজি হজ পালন করছেন। হজের সব আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার।
আর কিছুক্ষণ পর সৌদি আরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের আগেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করবে। হজের খুতবা শোনা হজের অন্যতম বিধান।
এই আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। লাখো মানুষের উদ্দেশে প্রদত্ত এই ভাষণের পর আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছিল ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতার। আজো সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভাষণ দেওয়া হয়। ভাষণে গোটা বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর হাজিরা আবেগঘন পরিবেশে আল্লাহর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেওয়ার মন-মানসিকতা নিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তারা নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, নিজের পরিবার পরিজন, সমাজ ও রাষ্ট্রের সুখ শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
এদিকে হাজিদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের জন্য হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
বাদশাহ বলেন, ‘হাজিদের সেবা করা সৌদি আরব ও সৌদি আরবের জনগণের জন্য একটি সম্মানের বিষয়।’
আরাফাত, মিনা ও মুজদালিফায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় এক লাখ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এবং সহস্রাধিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী। হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২৫টি হাসপাতালও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।