সাতক্ষীরা একতা হাসপাতালে অপারেশনের সময় সিজার রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দয়েরকৃত হত্যা মামলা প্রত্যাহার, ৩০২ ধারা বাতিল ও ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তার দাবীতে সাতক্ষীরায় সাধারণ চিকিৎসকরা কোন ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রাখবেন। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন (বিএমএ) জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন। 

এদিকে, রোগীদের সেবা প্রদানে অনীহা দেখাচ্ছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা এমন অভিযোগও উঠেছে। অপারেশন রোগীকে নানা অজুহাতে খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত চার রোগীকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযোগ করছেন সেবা নিতে আসা মানুষরা। 

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাপাতালের দুর্নীতি অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা: এস জেড আতীকসহ ৫ ডাক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের একতা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা: দেবদুলাল সরকারসহ তিন ডাক্তার, দুই নার্স ও হাসপাতাল মালিকসহ ৮জনকে আসামী করা হয়। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরার ক্ষুব্ধ সাধারণ ডাক্তাররা সোমবার থেকে একত্রিত হয়ে প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ ও প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন বন্ধ করে দিয়েছে।  

সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, রোগী মারার জন্য আমরা অপারেশন করি না। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী অপারেশনে মারা যেতেই পারে। তাই বলে আমাদের নামে হত্যা মামলা করা হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। 

তিনি আরো বলেন, কাজ না করলে সফলতা আসে না। কিন্তু আমরা তো ইচ্ছা করে মানুষ মারি না।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, সাধারণ ডাক্তারদের ধর্মঘটে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) নৈতিক সমর্থন আছে। আমরা চাই পেশাগত নিরাপত্তা। আমরা মানুষকে হয়রানি করতে চাই না। চিকিৎসকরা তাদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ করেছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে আমাদের সেবা অব্যাহত থাকবে। 

জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন।