গাইবান্ধায় দিনভর বৃষ্টিপাত: শহরে হাটুজল
গাইবান্ধায় ভোর থেকেই ভারী বর্ষণ শুরু হয়। একটানা সোয়া ১২টা পর্যন্ত এই বর্ষণ অব্যাহত ছিল। ফলে জনজীবনে চরম স্থবিরতা নেমে আসে। পৌর এলাকার ড্রেইনেজ সমস্যার কারণে শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গোটা পৌর এলাকার ড্রেনগুলো উপচে পড়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পথচারী ও মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা লোকজন বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়তে হয়।
এ সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ কাচারী বাজার, ভিএইড রোড ও প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। কাচারী বাজারে কাপড়, ষ্টেশনারী, ওষুধের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাটগুলোর সামনের অংশগুলোতে পানি জমে যায়। এছাড়া শহরের মুন্সিপাড়া, বানিয়ারজান, প্রফেসর কলোনী, ডেভিডকোম্পানীপাড়াসহ বেশকিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ষ্টেশন রোডে পানি জমার ফলে পথ চলতি নারী-পুরুষ চরম ভোগান্তির কবলে পড়ে।
কাচারী বাজারের ব্যবসায়িরা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই পৌর এলাকার ষ্টেশন রোড, কাচারী বাজারে দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনে ময়লা জমে থাকাই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য: পৌর এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য যে সমস্ত ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। তদুপরি অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় এবং ড্রেনের পানি নিস্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনগুলো উপচে পড়ে। এতে অপরিচ্ছন্ন ড্রেনগুলোর ময়লা দূষিত পানি রাস্তা দিয়ে গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। জরুরী ভিত্তিতে ড্রেইনেজ সমস্যার সমাধান করা না হলে এ অবস্থার কোন উন্নীত তো হবেই না বরং অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে বলে পৌরবাসিরা আশংকা করছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।