- হোম
- >
- লাইফ স্টাইল
- >
- মশাবাহিত ৫ রোগ সম্পর্কে জেনে নিন, সতর্ক থাকুন
মশাবাহিত ৫ রোগ সম্পর্কে জেনে নিন, সতর্ক থাকুন
মশার কামড়ে দেশে যেসব রোগ সৃষ্টি হয়, তার মধ্যে ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়া রোগের কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু আরো কিছু রোগ রয়েছে, যা মশার কামড়ে সৃষ্টি হয়। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি রোগের হদিস। এ ধরনের সবগুলো রোগ থেকেই দূরে থাকার জন্য মশা এড়িয়ে চলা উচিত। রোগগুলোর বিস্তার লাভ রোধ করতে প্রত্যেকের নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা উচিত এবং মশার বংশবিস্তার রোধ করার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অন্যথায় এসব রোগে আক্রান্ত হলে প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে।
১. ডেঙ্গু
মশার কামড়ের মাধ্যমে দেহে সংক্রমিত হতে পারে ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস। এ ভাইরাস কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবারও আক্রমণ করতে পারে। এ রোগের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা (মাথার সামনের অংশে), চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা। এ ছাড়া র্যাশ, বমি-বমি ভাব, বিতৃষ্ণাবোধ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। কিছুদিন আগেও এ রোগের সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগের চিকিৎসা সুবিধা বেড়েছে। ফলে রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। চিকিৎসায় দেরি করলে রোগীর প্রাণ সংশয়ও হতে পারে।
২. ম্যালেরিয়া
চার ধরনের ম্যালেরিয়ার মধ্যে পি ফ্যালসিপ্যারাম সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এটি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে এবং রোগী প্রায়ই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এ ধরনের ম্যালেরিয়ায় বর্তমানে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগটি নিরাময়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
৩. এনসেফালাইটিস
এ রোগটি 'জাপানি এনসেফালাইটিস' নামে পরিচিত। এ রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী মশা বাড়ির চারপাশের জলাভূমি ও স্থির পানিতে হয়। মানবদেহে সংক্রমণের পর রোগটি কেন্দ্রীয় নার্ভাস সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে। মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে রোগটি বাসা বাঁধে। এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে বহু লোকই মারা যায়। এ ছাড়া মারাত্মক মস্তিষ্কের ক্ষতি ও প্যারালাইসিসের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয় বহু মানুষ।
৪. চিকুনগুনিয়া
এডিস এইজিপটি মশার আক্রমণে চিকুনগুনিয়া নামের একটি রোগ হয়। এ রোগের জন্য দায়ী মশা ডেঙ্গু রোগও বহন করতে পারে। এ রোগের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, জ্বর, উদ্যমহীনতা, বমিভাব, মাংসপেশি ব্যথা ও অস্থিসন্ধি ব্যথা। তবে রোগটি দীর্ঘায়িত হলে সংক্রমণও হতে পারে। রোগটির আফ্রিকায় উৎপত্তি। সেখান থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে এ উপমহাদেশে চলে আসে। ২০০৬ সালে ভারতের গুজরাট, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যে রোগটি বিস্তার লাভ করে। রোগটির কোনো প্রতিষেধক নেই।
৫. লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস
লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস রোগটি ফাইলেরিয়া ধরনের একটি রোগ। এটি একটি মারাত্মক ইনফেকশন, যার প্রভাবে মানুষের পা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গুণ ভারী হয়ে ওঠে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।