গ্রিসে জাতীয় নির্বাচনে ভোট চলছে। গত ছয় বছরের এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, এর মধ্যে তিনটিই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের গত নয় মাসে।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট শেষ হওয়ার দু ঘণ্টা পরেই ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানুয়ারিতে প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের নেতৃত্বাধীন বামপন্থি সিরিজা পার্টি। জুলাইতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন বেইলআউট চুক্তি ও কৃচ্ছ্রতার পরিকল্পনা গ্রহণ করা নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত আগস্ট মাসে সিরিজা সরকার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে চাপে পরে নির্বাচনের ডাক দেয় ও প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস পদত্যাগ করেন।

এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সিরিজা এবং রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। তবে শুক্রবার রাতে সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসের সিরিজা দলটি রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি দলের চেয়ে কিছুাটা এগিয়ে আছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপিয়ে দেওয়া কৃচ্ছ্রসাধনের বিরোধিতা করে ক্ষমতায় আসা সিপ্রাস জুলাইতেই আন্তর্জাতিক দাতা দেশগুলোর চাপের মুখে নতি স্বীকার করায় তার পক্ষে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। কেননা ইউরোপীয় নেতাদের বেধে দেয়া বেলআউট বা অর্থনৈতিক সংস্কারের বিনিময়ে অর্থ সহায়তার প্যাকেজে সমর্থন দেয়ায় তার জনসমর্থন ব্যাপক হারে কমে গেছে।

ভাঙন ধরেছে সিরিজা দলেও। দলের ২৫ জন সাংসদ মিলে আলাদা দল গঠন করেছে। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট নয়টি দল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। এই অবস্থায় সিপ্রাসের দল যদি ভোটে জিতেও যায়, সরকার গড়তে হলে বাকি আট দলের কারও সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। এই নিয়েও ভোটের পর দলের মধ্যে বিতর্কের জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আলেক্সিস সিপ্রাস অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণায় ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী ইউরোপের বার্তা ছড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রতিপক্ষ রক্ষণশীল দলের নেতা মেইমারাকিস।