মনসা পূজার মধ্য দিয়ে নাম মাত্র সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা। উইকিপিডিয়ার অনুসন্ধানে জানা যায়, আনুমানিক ৩০০ বছর আগে এই মেলার সূচনা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুক্রবার এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএফএম এহতেশামুল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ এম.এ জলিল।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিক-উদ-দ্দৌলা সাগর প্রমুখ।

প্রতিবছরই মেলাকে ঘিরে জেলা শহরে সাজ সাজ রব থাকলেও এবার তেমনটি দেখা যায়নি। শহরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গুড়পুকুরের মেলা আয়োজনের কথা ছিল কিন্তু মেলা বসেছে পলাশপোল স্কুল সড়কে। শহরের অন্য কোন স্থানে মেলার কোন চিহ্ন নেই।

এদিকে, চাঁদাবাজি ও সব ধরণের জুয়া বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ঈদের আগে মেলা জমে ওঠার সম্ভাবনা কম বলে জানান মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা।

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলার একটি সার্কাস প্যান্ডেল ও রকসি সিনেমা হলে বোমা হামলা চালায় দূর্বত্তরা। ঘটনায় তিন জন নিহত ও আহত হয় আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। এই ঘটনার পর থেকে মেলাটি তার ঐতিহ্য হারিয়েছে পূর্বের মত আর লোক সমাগম হয় না।

মনসা পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষে মেলা শুরু হয়। শহরের পলাশপোল গুড়পুকুরের পাড়ে মেলাটি বসার কারণে এর নামকরণ হয়েছে গুড়পুকুরের মেলা। এমন অভিমত অনেকের।

স্বল্পপরিস্বরে আয়োজনের বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএফএম এহতেশামুল হক জানান, যেহেতু পূর্বে ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি আয়োজন করতো পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মেলাটি পরিচালিত হচ্ছে। ঈদ আগত এবং জেলা প্রশাসক ভারতে থাকার কারণে ব্যাপকভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।