অনুমোদনহীন সাতক্ষীরা একতা হাসপাতালে সিজার অপারেশনের টেবিলে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল কুড়ি বছর বয়সী গৃহবধু সুমনা খাতুনের। নিহত সুমনা খাতুন সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোল্লার কন্যা। সদ্য ভুমিষ্ট শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পলাশপোলস্থ একতা হাসপাতালে অপারেশনের টেবিলে রোগীর মৃত্যু হয়। এ সময় দুই ডাক্তার ডাঃ দেবদুলাল ও ডা. সুদীপ্ত শেখর দেবনাথ, ক্লিনিক মালিক হরিপদ ও ভৈরব চন্দ্র সরকার পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ করে।

এদিকে, হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনার পর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আশাশুনির কোদন্ডা গ্রামের খোরশেদ আলীর পুত্র আরাফাত হোসেন (২৭), তারাপদ মন্ডলের পুত্র কৃষ্ণ মন্ডল (৩১) ও আয়া শিরিনা খাতুনকে আটক করে। পুলিশ হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে। 

নিহত সুমনা খাতুনের ভাই মো. হোসাইন আলী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর অসুস্থ বোনকে শহরের একতা হাসপাতালে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মোটা অংকের টাকায় সিজারের অপারেশনে চুক্তিবদ্ধ হয়। রাতে অপারেশন করেন ডাঃ দেবদুলাল। অজ্ঞান করান ডা. সুদীপ্ত শেখর দেবনাথ।

তিনি আরও জানান, ভুল চিকিৎসার কারনে অপারেশন টেবিলেই তার বোনের মৃত্যু হয়। এ সময় একটি পুত্র সন্তান ভুমিষ্ট হয়। টেবিলে সুমনার মৃত্যু হলে তড়িঘড়ি করে দ্রুত খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এ সময় একতা হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তাররা হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তারপরও আমরা মৃত. সুমনাকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার পথে বিনেরপোতা এলাকায় গিয়ে মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ফিরে আসি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক শেখ জানান, অভিযোগ পেয়ে তিন জনকে আটকের পর ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।