চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ঝুড়ি থেকে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় আটক ১
জাকির হোসেন পিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রিন্টঅঅ-অ+
অবশেষে ঘটনার ৩ মাস পর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো আমের ঝুড়িতে অত্যাধুনিক ৭.৬৫ মি.মি পিস্তলের তাজা গুলি প্রেরণকারী চক্রের মূলহোতাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
আমের আড়ালে গুলির প্রেরক বলে সনাক্ত হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাপাড়া ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মনির(২৫)।
দীর্ঘ তদন্তের মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে শিবগঞ্জ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের রসুলপুর মোড় থেকে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় মনিরের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ মনিরকে আটকের পর এবং একই ঘটনায় এর আগে আটক তার অপর এক সহযোগীকে জিঞ্জাসাবাদ ও তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে এসব গুলি রাজনৈতিক অস্থিরতার কাজে ব্যাবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, মামলাটির প্রকৃত রহস্য এখন মনিরকে জিঞ্জাসাবাদে বেরিয়ে আসবে। তবে তাদের আটকের মাধ্যমে মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এসব আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি দেশে অস্থিরতা তৈরী এবং নাশকতার উদ্দ্যেশেই পাঠানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ মহাসড়কের রানিহাটী এলাকায় শিবগঞ্জের এস.আর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো ও কুরিয়ার সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত একটি ভটভটিতে থাকা ৫৩ টি আমের ঝুড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে আমের ঝুড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪৫ রাউন্ড তাজা অত্যাধুনিক ৭.৬৫ মি.মি পিস্তলের গুলি জব্দ করে।
এ সময় কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার ও শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মো.মনিরুল ইসলামের ছেলে মো.রাজিত বিল্লাহ রাজু এবং তার এক কর্মচারী একই এলাকার মৃত ইউসুফ মন্ডলের পুত্র মো.আব্দুল কাইয়ুম (৩০)কে আটক করে র্যাব।
এ ব্যাপারে পরদিন র্যাবের পক্ষে শিবগঞ্জ থানায় মামলা হলে তদন্ত আরম্ভ করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে জনি নামের একজনের নাম উঠে এলে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গত ২১ জুলাই আটকের পর রিমান্ডে নিলে জনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ সময় সে নিজে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং এ কাজের সাথে আহাদ ও মনির নামে আরও ২ জন অস্ত্র ব্যাবসায়ী জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর সূত্র ধরেই শনিবার বিকেলে মনিরকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জামিনে থাকা কুরিয়ার সাভির্সটির ম্যানেজার মো.রাজিত বিল্লাহ রাজু নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান, মনিরের নামে এন ৫৬৪৭০৬ নম্বর সিরিয়ালের সি.এন এর মাধ্যমে কুমিল্লায় প্রেরণ করা ওই ঝুড়িগুলিতে আমের মধ্যে যে গুলি পাচার হচ্ছিল তা তাদের জানা ছিলনা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।