বিশ্বে বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকায় ঢাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে মাঠে নেমেছে একটি পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুনতে গল্প মনে হলেও এটাই সত্যি গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়  কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জনা চল্লিশেক শিক্ষার্থী ‘সোশ্যাল সুইপার বিডি’ নামে একটি পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চৌহদ্দীতে ঝাড়ু দেয়া, জমে থাকা ময়লা পানি ধোয়ামোছা করা ও পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছে।

জাত সুইপার না হলেও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলের মুখাপেক্ষি না হয়েও যে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তাই করে দেখিয়েছে সোশ্যাল সুইপাররা।

সংগঠনের প্রধান সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহাদুল ইসলাম শিমুল ও ঢাকা কলেজে পড়ুয়া ফাইয়াজ হোসেন জানান, প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে, বিশ্বের দ্বিতীয় নোংরা শহর ইত্যাদি শিরোনামে প্রতিবেদনটি তাদের ব্যথিত করে। তাই তারা ঢাকা শহরের পরিবেশকে সুন্দর করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে শহরটিকে অবশ্যই আবার বসবাসযোগ্য করা সম্ভব হবে বলেও জানান তারা।

অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক মোস্তাকিম ইসলাম জানান, ঢাকা শহরের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এ সংগঠনটি আজ থেকেই যাত্রা শুরু করেছে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানের প্রথম স্থান হিসেবে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিবিজাড়িত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকেই বেছে নিয়েছেন তারা।

আরফান হুসেইন জুন জানান, হাতে হাত রাখি পরিবেশ রক্ষা করি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তারা মানুষকে সচেতন করতে কিছু বার্তা পৌঁছে দিবেন।

চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ খ্যাত রাফসান মান্নান বলেন, পরিবশেবাদী সংগঠন সোশ্যাল সুইপার বিডি’র আমি একজন সদস্য হতে পেরে আমার খুব লাগছে। ঢাকা আমাদের প্রাণের শহর। তাই ঢাকার পরিবেশ রক্ষা করা আদেরই দায়িত্ব। আমরা যখন আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারব তখনই বসবাস উপযোগি শহর হিসাবে ঢাকাকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।  

সংগঠনের লিফলেটে বলা হয়েছে আপনার ফেলে দেওয়া পলিথিন ও চিপসের প্যাকেট ও অব্যবহৃত পানির বোতল পরিবেশ দূষণ ও জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী নয় কি? প্রতিদিন কমপক্ষে একটি পলিথিনকে না বলুন। আপনার ছায়া দূরত্ব পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আপনার নয় কি? আগামী প্রজম্মের জন্য সুস্থ পরিবশই একান্ত কাম্য।