চাঁপাইনবাবগঞ্জে খ্রীষ্টান মিশনে ডাকাতি মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা খ্রীষ্টান মিশনে কয়েকমাস পূর্বে সংঘঠিত ডাকতির মালামাল উদ্ধার ও এই মামলার ২ আসামিকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও প্রদান করেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। এঘটনার রহস্য উদঘাটন করে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহনের মূল ভূমিকা পালন করেন সদ্য ডিএমপিতে বদলী হওয়া সিনিয়র এএসপি (সদর সার্কেল) মতিউর রহমান সিদ্দিকী। ডাকাতিকালে লুন্ঠিত ২টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কালিনগর গ্রামের তাজামুল হকের ছেলে শামীম রেজা, চকদৌলতপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জিয়া, একই গ্রামের আব্দুল মজিদ অরফে ভাদুর ছেলে আব্দুর রহিম ও সুজানগর কালিগঞ্জ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ জেম।
এদের মধ্যে শামীম রেজা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। শামীমের জবানবন্দী মোতাবেক, ডাকাত সর্দার (গত ২০-০৮-১৫ তারিখে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোমস্তাপুরে গনপিটুনিতে নিহত) শিবগঞ্জের রাব্বানী, আলমাস, মোর্তুজা, ফারুক এবং জেমসহ আরও কয়েকজন মিলে আমনুরা মিশনে ডাকাতি করে।
মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা সদর সার্কেল সিনিয়র এএসপি মতিউর রহমান সিদ্দিকী বুধবার জানান, মামলার রহস্য উদঘাটনে আধুনিক মোবাইল কললিষ্ট ট্রাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং আসামি গ্রেপ্তারে সফল হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত; একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি শিবগঞ্জ চৌডালা রোডে খুনসহ ডাকাতি মামলা এবং জেলার চাঞ্চল্যকর অনান্য হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে সফল হয়েছেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনূরা লুথারেন মিশনে গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতদল লুট করে নিয়ে যায় মূল্যবান জিনিষপত্র। এব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
এ সময় আদিবাসীদের নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক একটি সেমিনারের জন্য ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন প্রশিক্ষক মিশনের অতিথি শালায় অবস্থান করছিলেন। রাতের বেলায় ২০/২২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল গ্রিলের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে হিংগু মুরমু, মিথু শিলাক মুরমুসহ কয়েক আদিবাসী প্রশিক্ষককে বেঁধে মারধর করে নগদ টাকা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, মুঠোফোন, সোনার গহনাসহ প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।