সাতকানিয়ায় ধর্ষণের দায়ে দুইজনের ৬০ বছরের কারাদণ্ড
সাতকানিয়া উপজেলার দ্বীপ চরতি গ্রামে প্রতিবেশী তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দুই আসামীকে দু’বার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থাৎ ৬০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই অপরাধে আসামীদের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাতকানিয়া উপজেলার দ্বীপ চরতি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. হোসেনের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী ও মৃত আব্দুল হাসিবের ছেলে মো. মামুন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ২১মে রাত আটটার দিকে দ্বীপ চরতি গ্রামে প্রতিবেশী তরুণীর বাড়ির সামনে গিয়ে নাম ধরে ডাকে আসামী ইয়াকুব আলী ও মামুন। প্রতিবেশী হিসেবে তরুণদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের দরজা খুললে মুখ চেপে ওই তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণের পর চট্টগ্রাম শহরের জাহেদ বোর্ডিং ও অজ্ঞাত স্থানে তরুণীকে জোরপূর্বক কয়েক দফা ধর্ষণ করে আসামীরা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৮মে ধর্ষণের শিকার তরুণীর ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় ২০০১ সালের ৩ আগস্ট। ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১১জর সাক্ষীর মধ্যে ৫জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করে।
রায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯(৩) ধারায় আসামীদের প্রত্যেককে দুইবার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থাৎ ৩০ বছর করে মোট ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ৫০ হাজার টাকা ও ৯(৩) ধারায় ১ লাখ টাকা অর্থাৎ আসামীদের প্রত্যেককে মোট দেড় লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় আদালত। আসামীরা বর্তমানে হাজতে রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি জেসমিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯(৩) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক আসামীকে দুইবার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থাৎ ৩০ বছর করে মোট ৬০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়। একই অপরাধে আসামীদের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায়ে উল্লেখ করা দুইটি সাজার মেয়াদ একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে বলে বিচারক আদেশপত্রে উল্লেখ করেছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।