চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পাশ্ববর্তী চারটি বৃহৎ গ্রামের অধিবাসীরা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া বন্দর সংলগ্ন ও বন্দরের কাজেও ব্যবহৃত সড়কটি বন্দর ব্যবহারকারী ট্রাকগুলির লোড ক্যাপাসিটি অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার ও প্রশস্ত করণের দাবিতে এলজিইডি জেলা কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে।

দাবি পূরণের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ন দৃষ্টি আকর্ষণমূলক ঘেরাও কর্মসূচী পালনের পর প্রথমে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও পরে জেলা প্রশাসকের কাছে এ মর্মে স্মারকলিপিও দেয় তারা।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন ঘনবসতিপূর্ন বালিয়াদিঘী, শিয়ালমারা,মির্জাপুর ও কামালপুর গ্রামের কয়েকশত বাসিন্দা ৪০ কি.মি দূর হতে ট্রাক ও অনান্য যানবাহনে জেলা শহরে আসে এবং এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। প্রায় ঘন্টা ধরে চলা এই কর্মসূচির শেষে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভারি যানবাহন চলাচল করায় স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট থেকে বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের দেয়াল ঘেরা মূল বন্দর অবকাঠামোর ৫ নম্বর গেট পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে এলাকার মানুষের যাতায়াত করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বছরেরও বেশী সময় ধরে এই অবস্থা চললেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে তারা বাধ্য হয়েই এই কর্মসূচি পালন করছে। বিশেষ করে শিক্ষর্থী, রোগীদের চলাচলের দূর্ভোগের কথা সাংবাদিকদের জানান গ্রামবাসীরা।

এ সময় গ্রামবাসীদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, সাব্বির আহম্মেদ প্রমূখ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তারা জানান, গুরুত্বপূর্ন বন্দরটি ঠিকমত চালু রাখার জন্যও সড়কটি সংস্কার করা দরকার।

স্মারকলিপি গ্রহণের পর নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান ভূইয়া বলেন, এরই মধ্যে ওই সড়কের জন্য একটি প্ল্যান তৈরী করা হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়কটি পূনঃনির্মান প্রস্তাবনাও এলজিইডির সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছর দীর্ঘমেয়াদী বর্ষায় ও ৬৫ মে.টন পর্যন্ত আমদানী রপ্তানী পণ্যবাহী ট্রাক সড়কটিতে অবিরত চলাচল করায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি গ্রামবাসীদের সাথে একমত পোষণ করেন। সড়ক সংস্কার প্রস্তাবনাটি পাস হয়ে আসলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।