ধামরাইয়ে নিখোঁজের পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
ধামরাইয়ের নিখোঁজের তিনদিন পর একটি বাঁশ ঝাড়ের নীচে ডোবা থেকে পাঁচ বছর বয়সী সিয়ামের নামের এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের উত্তর নওহাটা এলাকায় একটি বাঁশ ঝাড় থেকে দূর্গন্ধ ছড়ালে সেখানে একটি ডোবা থেকে ওই শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সিয়ামের স্বজনরা জানায়, সিয়ামের বাবা বাস চালক শহিদুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে তার পাঁচ বছরের শিশু সিয়ামকে তার সাথে নিজ কর্মস্থলে ঘুরতে নিয়ে যান। এসময় সে তার দুই সহকর্মী বাসের হেলপার সোহেল ও সজীবের কাছে সিয়ামকে রেখে বড় ছেলের সাথে দেখা করতে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় যান। ফিরে এসে তিনি সিয়ামসহ তার দুই সহকর্মীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর খুঁজে পাননি। পরে ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন সিয়ামের বাবা।
এ ঘটনার তিনদিন পর আজ নিজ বাড়ির পাশ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ের ভিতর দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে সেখানে একটি ডোবায় সিয়ামের গলিত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সিয়ামের বাবা বাস চালক শহিদুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “স্যার, অগো বাস নিয়া রাস্তায় যাইতে মানা করছিলাম। শুনেনাই দেইহা বাসের হেলপার সোহেলরে বকা দিছি। হ্যার লাইগাই ওরা আমার অবুঝ পোলারে এমনে কইরা মাইরা ফ্যালাইছে...!”
এদিকে প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হলেও ময়নাতদন্তের চূড়ন্ত প্রতিবেদন পেলেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রিজাউল হক। তাছাড়া সিয়াম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই শহিদুল ইসলামের বাসের দুই হেলপার পলাতক রয়েছে। তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন নিহত শিশুর বাবা। তাই একই সাথে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।