জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বার ভাট্রা ইউনিয়নের দল্টা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ সোমবার পূর্ব নির্ধারিত জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করেছে। অবশ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় ভিন্ন কথা। একই সময়ে ও একই স্থানে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত শোকসভা ও বিদ্যালয়ের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিড়ে ফেলাসহ তোরনও ভাংচুর করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও দল্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু জানান, বিগত পনেরদিন পূর্ব থেকে বিগত সময়ে অত্র বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৫৪ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধিত করার জন্য একটি সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সকল আয়োজন শেষ করে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের জন্য দিনক্ষন ঠিক করা হয়। দল্টাবাজারসহ স্কুল আঙ্গিনায় তোরন ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানের আগের দিন রবিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূইয়া হঠাৎ একই স্থানে একই সময়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া চেয়ে শোকসভার আয়োজন করে। কিন্তু আমরা কোন প্রকার ঝামেলা এড়াতে সকাল ৮টায় আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের শুরু করলে সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশ ১৪৪ ধারা জারির চিঠি নিয়ে আসলে আমরা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করি।

এ ব্যাপারে দল্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তছলিম হোসেন জানান, আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা দেওয়ার জন্য পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মহোদয়ের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রামগঞ্জ থানার এস আই কৃষ্ণা আমাদের হাতে দেন। আমরা তা খুলে দেখি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ স্কুল মাঠে শোকসভার আয়োজন করায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া সুমন জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরকার নির্দেশনামতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি পালনের নিদের্শনা দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে উপজেলা ছাত্রলীগ সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও তারা সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন না করায় উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েনসহ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রফিক উল্যাহ জানান, আজ সোমবার সকালে একই স্থানে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবর্ধণা ও উপজেলা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর জন্য শোকসভা করার ব্যাপারে অনড় থাকলে আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল ৮ থেকে রাত ১০টায় পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করি।