গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে ১১ সেপ্টেম্বর প্রাঙ্গণেমোর-এর শেষের কবিতা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোর-এর ‘শেষের কবিতা’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা উপন্যাস অবলম্বনে এ নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু এবং পোষাক পরিকল্পনা নূনা আফরোজ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা, আউয়াল রেজা, সরোয়ার সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, জাহিদুল ইসলাম, সুমী, চৈতী, রিগ্যান, মনির, সীমান্ত, আশা, বিপ্লব, ঊষা ও কারিমা।
কাহিনী সংক্ষেপ:
শেষের কবিতা নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুলপঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতা'র নাট্যরূপ। শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমূখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দূর্লভ অবসরে দুজন দুজনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিনতি ভালোবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাশ করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিলো সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিস্কার করলো সেও ভালোবাসতে পারে। আর অমিত বন্দি হলো লাবণ্যর প্রেমে।
অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। লাবণ্য বোঝে অমিত চির-পলাতক সংসার করবার মানুষ নয় ও রুচির তৃষ্ণা মেটাতে চায়। ওর মন যখন ক্লান্ত হবে, ওর কথা যখন ফুরোবে তখন হয়তো সেই নিঃশব্দের মধ্যে ধরা পড়বে লাবণ্য এক সাধারণ মেয়ে। লাবণ্য অমিতকে বলে- তোমার কাছ থেকে আমি যা পেয়েছি, সে আমার পক্ষে যথেষ্ট, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে। তুমি আমাকে বিয়ে করতে চেওনা”।
অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বোন সিসি তাঁর বন্ধু কেতকী ও কেতকীর ভাই নরেন শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সাথে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালোবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিলো। লাবণ্যর সাথে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী সে আংটি খুলে রাগে অভিমানে নয়নে শিলং ছেড়ে চেরাপুঞ্জি চলে যায় এবং লাবণ্যর অনুরোধ রক্ষায় অমিতও যায় সংগে। অমিত যে আংটিটি লাবণ্যকে পরিয়েছিলো সেটিও লাবণ্য ফিরিয়ে দেয় অমিতকে অর্থাৎ অমিত দু’জনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত কি করবে ভেবে পায় না।
ক’দিন পর চেরাপুঞ্জি থেকে ফিরে এসে অমিত দেখে লাবণ্য চলে গেছে শিলং ছেঁড়ে। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। কিছুদিন পরে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠির এক পাশে শোভনলালের সাথে লাবণ্যর বিয়ের খবর।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।