- হোম
- >
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
- >
- থ্রিজি ও টুজি ইন্টারনেটের দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত
থ্রিজি ও টুজি ইন্টারনেটের দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত
দেশে থ্রিজি ও টুজি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণে বিভ্রান্তি এড়াতে মোবাইল অপারেটরদের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) ও দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) ইন্টারনেট প্যাকজের দাম এখন থেকে আলাদাভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আবার থ্রিজির দামে টুজি ইন্টারনেট প্যাক কেনা হলে ৪০ শতাংশ ডেটা গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়েছে। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসএস) বিভাগ বিষয়টি নিয়ে তিন মাস কাজ করে এ নির্দেশনা তৈরি করেছে।
মোবাইল অপারেটরদের বিটিআরসি যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, টুজি ও থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্য নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে বিভ্রান্তি রয়েছে। তা দূর করতে সব মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট প্যাকেজের ব্যাপারে নতুন চারটি নির্দেশনা মোবাইল অপারেটরদের দিয়েছে বিটিআরসি। এর একটিতে বলা হয়েছে, একজন গ্রাহক থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে এর আওতার বাইরে গেলে টুজি নেটওয়ার্ক পান। এমনটি হলে ওই গ্রাহক টুজি নেটওয়ার্কে যে পরিমাণ ডেটা ব্যবহার করবেন, তার ৪০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরকে ফেরত দিতে হবে। অর্থাৎ একজন গ্রাহক যদি ১০০ মেগাবাইট (এমবি) থ্রিজি ডেটা প্যাক কেনেন এবং পুরো ডেটাই তিনি টুজি নেটওয়ার্ক এলাকায় ব্যবহার করেন, তাহলে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ ৬০ এমবি ডেটা কাটতে পারবে। আর বাকি ৪০ শতাংশ ডেটা গ্রাহক ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, একজন গ্রাহক যদি থ্রিজি নেটওয়ার্কের বাইরে থেকে থ্রিজি ডেটা প্যাকেজ কিনতে চান, তাহলে তাকে আগেই খুদে বার্তা দিয়ে জানাতে হবে যে তিনি ওই নেটওয়ার্কের বাইরে আছেন। টুজি অথবা থ্রিজি যেকোনো প্যাকেজের জন্যই প্যাকেজে যে গতি উল্লেখ থাকবে সেটি একই হারে গ্রাহককে দিতে হবে।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, বিটিআরসির এসব নির্দেশনার কারিগরি বাস্তবায়ন ও সমস্যার দিকগুলো তারা এখন নিজেরাই বিশ্লেষণ করছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসিকে এ বিষয়ে আলাদাভাবে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে থ্রিজি ও টুজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নির্ধারণে বিটিআরসির সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। সব অপারেটরই ইন্টারনেট সেবা প্রদানে টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তিকে আলাদা করে না। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে, টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটের মূল পার্থক্য হলো গতি। থ্রিজিতে ইন্টারনেট ১০০ এমবি ডেটা যে গতিতে খরচ হয়, টুজির গতি কম হওয়ায় ১০০ এমবি খরচ হতে বেশি সময় লাগে। তাই এ ক্ষেত্রে দামের পার্থক্য করা হয় না।
বিটিআরসির প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ কোটি ৭ লাখ, এর ৯৭ শতাংশ বা ৪ কোটি ৯২ লাখ গ্রাহক মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে দেশে থ্রিজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট চালু রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।