- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- আগৈলঝাড়ায় সংখ্যালঘু অন্তঃসত্ত্বা নারী আহতের ঘটনায় মামলা নেওয়ার নির্দেশ
আগৈলঝাড়ায় সংখ্যালঘু অন্তঃসত্ত্বা নারী আহতের ঘটনায় মামলা নেওয়ার নির্দেশ
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘সংখ্যালঘু স্কুল ছাত্রীকে যৌণ নিপীড়ণ’ এর সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংবাদের সত্যতা পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক। মামলা নিয়ে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে যৌণ নিপীড়ণের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় বারপাইকা সংখ্যালঘু পল্লীর অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনার থানা পুলিশ কোন মামলা না নেওয়ার সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর বিকেলে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক ঘটনা তদন্তে আসেন। তিনি বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে ঘটনার বর্ণনা শোনেন।
নিগৃহীতা ওই ছাত্রীর ভাই নিলয় হালদার, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হালদার, রত্নপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ঘটনার বিবরণ দেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার সত্যতা পেয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে মামলা নিয়ে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
সূত্র মতে, উপজেলার সাহেবেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা সংখ্যালঘু মন্টু হালদারের বারপাইকা স্কুলের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে যৌণ হয়রানি করে আসছিল বারপাইকা মুসলিম পাড়ার আলমগীর শাহ’র ছেলে নিশাত শাহ (২২)। তাকে সহায়তা করে আসছিল একই এলাকার বিএনপি ক্যাডার ও অবরোধে গাড়ি পোড়ানো মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ার শাহ’র ভাই রহিম শাহ ও তার বন্ধু একই এলাকার মতি মোল্লার ছেলে মশিউর।
গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী স্কুলে আসার পথে তাকে যৌণ নিপীড়ণের সময় বারপাইকা স্কুল সংলগ্ন বাড়ির গোবিন্দ সরকার এর প্রতিবাদ করে। গোবিন্দর প্রতিবাদের জের ধরে গত শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ওই তিন বখাটের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি দল আকস্মিক গোবিন্দর বাড়িতে গিয়ে তার উপর হামলা চালায়।
এসময় গোবিন্দকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে একই এলাকার তপন বল্লভ ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা রাণী। হামলাকারীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকায় হৈচৈ শুনে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে এসে তাদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন ওই গ্রামের আরও ১০ জন। গুরুতর আহতাবস্থায় তপন বল্লভ ও তার স্ত্রী কণিকাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা চলাকালীন সময়ে ওসিকে বিষয়টি অবহিত করলেও থানা থেকে কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। এমনকি তপন বাদী হয়ে অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ তা মামলা আকারে রেকর্ড করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরে আগৈলঝাড়া থানা ওসি মোঃ মনিরুল ইসলামকে মামলা রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারে জন্য নির্দেশ দেন। থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেপ্তার করে এসপি স্যারকে জানাতে বলেছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।