মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ের দায়ে বর ও কনের বাবা-মা সহ সাত জনের জরিমানা করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল আমিন এ আদেশ দেন।

এছাড়া, বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় থেকে পড়াশোনা করবে মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও আবুল আমিন জানান, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ৩০ আগস্ট রাতে ভবানীপুর গ্রামের প্রবাসী জিন্নাত আলীর ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাকিল (১৪) শরিফুল ইসলামের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বিথীর (১৩) ঘরে প্রবেশ করলে প্রতিবেশীরা দু’জনকে আটক করে। পরের দিন সোমবার গ্রাম্য সালিশিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

রোববার দুপুর ২টার দিকে বর ও কনের বাবা-মা, সাক্ষী ও ঈমাম তাদের দোষ স্বীকার করায় বাল্য বিয়ে নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯২৯ এর সংশোধনী ১৯৮৪ রে ৫ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে সাত হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে বর ও কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত উভয়ে উভয়ের পরিবারের জিম্মায় থেকে পড়াশোনা করবে মর্মে দন্ডিতদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।

এছাড়া, সমাজপতি লাল্টু মিয়া, গোলাম মোস্তফা, আনারুল ইসলাম, নাহারুল ইসলাম, মাওলানা ওমর আলী, বরের বাবা প্রবাসী জিন্নাত আলী ও কনের বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমন জারী করে।