সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান হত্যার দুই বছর পার হয়ে গেলেও কোন বিচার পায়নি তার পরিবার। বিচারের প্রহর গুনে দিন কাটছে তাদের। 

আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ চলাকালে আমান উল্লাহ আমানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দলীয় নেতাকর্মীরা। নিহত হওয়ার কয়েকদিন পরেই জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু ও এড. সালাউদ্দীন লিটনকে সদস্য সচিব করে আমান হত্যার বিচার বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ কমিটি আমান হত্যার বিচার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও তার কোন অগ্রগতি হয়নি।

নিহত আমানের বিধবা স্ত্রী হোসনে আরা শিরিন অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন, কি দোষ করেছিল আমানের। সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো আমার স্বামীকে। মৃত্যুর পর থেকে কোন নেতাকর্মী সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয়নি। একমাত্র কন্যা নিশাত তাছনিন এর অসুস্থতার কথা বলেও সহায়তা পায়নি। বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন আমানের পরিবারের দায়িত্ব আমার। কিন্তু সেও কথা রাখেনি।

নিহত আমানের অসুস্থ মা ফাতেমা খাতুন বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর পর ৩-৪ মাস পর্যন্ত বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে প্রতিপক্ষরা। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। মরার আগে দেখে যেতে চাই আমার ছেলের খুনিদের বিচার হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মীসভায় জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারের মধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারন সম্পাদক আমান-উল্লাহ-আমান নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পর জেলা বিএনপির তৎকালীন কমিটি বাতিল করে রহমতউল্লাহ পলাশকে সভাপতি ও আব্দুল আলীমকে সাধারন সম্পাদক করে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।