সবচাইতে মেধাবী মেয়েটির সব বিষয়ে শূন্য
মরিয়ম মালেক মিশরের হাই স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচাইতে ভাল ছাত্রী। পরীক্ষার ফল দেখতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তালিকার উপরের দিকেই চোখ বোলাচ্ছিল সে। শীর্ষস্থান অধিকারীদের মধ্যে নিজের নাম না দেখে একটু অবাকই হল। তারপরও আশা ছিল, মেডিকেল স্কুলে ভর্তির উপযুক্ত নম্বর অন্তত পাবে সে। কিন্তু ফলের তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পেল না সে।
হাই স্কুলের শেষ পরীক্ষায়ই ফেল করল সে! শুধু ফেল বললে কম হবে, কারণ যে সাতটি বিষয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছিল, তার সবগুলোতেই শূন্য পেয়েছে সে। অথচ এর আগের পরীক্ষাগুলোতে সবসময়েই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসেছে মরিয়ম।
'আমি কানে কিছু শুনছিলাম না। মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। এটা কিভাবে সম্ভব? আমি কি করে সবগুলোতে শূন্য পেলাম?' বলছিল বিস্ময়ে হতবাক মরিয়ম।
প্রাথমিকভাবে গুজব ছড়িয়েছিল যে মিশরের সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্য হবার কারণে মরিয়মকে ফেল করানো হয়েছে।
তবে এই তত্ত্ব বাতিল হয়ে গেছে। এখন তার পরিবার বিশ্বাস করে যে মরিয়ম দুর্নীতির শিকার।
মরিয়মের ভাই বলছে, 'হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়তো পরীক্ষা বোর্ড মরিয়মের উত্তরপত্র এমন কারো সঙ্গে বদলে দিয়েছে যার পরীক্ষা মোটেই ভাল হয়নি'।
মিশরের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায় না, এমন নয়।
তবে মরিয়ম মালেকের এই ঘটনা অনলাইনে বিপুল সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার সমর্থনে একটি ফেসবুক পাতা চালু হয়েছে যাতে এরই মধ্যে ত্রিশ হাজারের বেশী মানুষ লাইক দিয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ এখন টুইটারে 'আই বিলিভ মরিয়ম মালেক' নামে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।