সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কার্যক্রমে গতি বাড়াবে নতুন অবকাঠামো
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রমের গতি বাড়াতে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার নতুন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ছলছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ও ব্যবসায়ীদের অধিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯টি অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
অপারেটর কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার বেলাল উদ্দিন জানান, পোর্ট ইয়ার্ডের অভ্যন্তরের বর্তমান রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পণ্য ভর্তি ও খালী ট্রাকগুলির ইয়ার্ডের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। ইয়ার্ডের ভিতরে ৬০-৬৫ মে.টনের পণ্য ভর্তি ট্রাক যাতায়াতের কারণে দেড় থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত গর্ত হয়েছে রাস্তায়। বর্তমানে ওই রাস্তাটির প্রায় ১ কিলোমিটার চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া গোডাউনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।
সোনামসজিদে আমদানি-রপ্তানিতে ও সকল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন অবকাঠামোগুলি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কারণে প্রায় একবছর যাবৎ এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ফল আমদানি বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি কিছু কিছু ফল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার ও দেশের বড় অবকাঠামোর জন্য ভারত থেকে পাথর আমদানিকারকেরা সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করছে সারা বছর।
নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের অধীনে ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে সোনামসজিদ এল.সি(শুল্ক) স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার পর নিয়মানুযায়ী পানামা কর্তৃপক্ষ অন্য বন্দরের ন্যায় সোনামসজিদেও সরকারের সাথে চূক্তি মোতাবেক কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করে। সেগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন নিয়ম মোতাবেক আবার কাজ শুরু হয়েছে বন্দর অবকাঠামো নির্মানের। এর মধ্যে রয়েছে ১ নম্বর স্কেল থেকে পকেট গেট পর্যন্ত ৭ হাজার ৫শ’ বর্গফুট এরিয়ায় ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই রাস্তা, ১ নং স্কেল থেকে ২ নম্বর স্কেল পর্যন্ত ২১ হাজার ২শ’ বর্গফুট এরিয়ায় ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই রাস্তা, ১ নম্বর মেইন গেটের কাছে ১শ’ মে.টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন স্কেল, ৪ নম্বর ব্লকে ১৫ হাজার ৬শ’ বর্গফুট এরিয়ায় ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই রাস্তা, ৪ ও ৫ ব্লকে ৫৭ হাজার ৪শ’ ২২ বর্গফুট এরিয়ায় ডবল লেয়ার ব্রিক ফ্লাট সোলিং সহ হেয়ারিং বোন ইয়ার্ড, ৪ নম্বর গেটের কাছে ১৬ হাজার বর্গফুটের নতুন ষ্টীল ষ্ট্রাকচার গোডাউন, ৩ নম্বর গেটের কাছে ১০ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট একটি ষ্টীল ষ্ট্রাকচার ট্রান্সসিপমেন্ট শেড। বি-ব্লকে ৬২ হাজার ৯শ’ বর্গফুট এরিয়ায় ডবল লেয়ার ব্রিক ফ্লাট সলিংসহ এইচবিবি ইয়ার্ড, ডি-ব্লকে ১৬ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট আরও একটি ষ্টীল ষ্ট্রাকচার গোডাউন
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পানামা ইয়ার্ডের অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তপক্ষ সূত্রও দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।