হাসপাতালের পানির পাম্প বিকল, জেনারেটরও বিকল !
কুলাউড়া সদর ৫০ শয্যা হাসপাতালে গত ১ মাস থেকে পানি সরবারহ থাকায় তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রুগীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
গত ১ মাস থেকে পানি সমস্যা থাকলেও এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের কোন আন্তরিকতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন এসব রোগীরা।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিভিন্ন রোগের মূল্যবান ইনজেকশন ও ওষুধ হাসপাতালের সম্মুখের ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি করা হয়। কাজেই রোগীরা হাসপাতালে এসে সরকারি ওষুধ ও ইনজেকশন না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে কিনতে হয়।
কেবিনে ভর্তি ডায়রিয়া রোগী রহিমা বেগম (৫৫) অভিযোগ করে জানান, তিনি মঙ্গলবার রাতে ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু বাথরুমে পানি নেই। এমনিতেই ডায়রিয়া রোগী বারবার বাথরুমে যেতে হচ্ছে, কিন্তু পানি না থাকায় নিজ খরচে বাইরে থেকে পানি এনে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে।
আরেক রোগীর অভিভাবক আদনান অভিযোগ করেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তার রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পানি নেই, বাথরুমের ভয়াবহ অবস্থা। দুর্গন্ধে রোগীদের অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের ৮ তারিখ থেকে হাসপাতালের পানির পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ায় পানি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি সমস্যা সমাধান হলেও কোনো লাভ নেই কারণ হাসপাতালে জেনারেটরটিও বিকল। ফলে খুব সহজে যে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে তা বলাও দুষ্কর।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিন আহমদ জানান, আমি দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকে পানির সমস্যা। তবে পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ চলছে। শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে। ওষুধ ও ইনজেকশন স্বল্পতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইনজেকশনের চাহিদা জেলায় পাঠানো হয়েছে। ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।