গাজীপুর কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামে স্বামী শংকর চন্দ্র তার স্ত্রী প্রিয়াংকা চন্দ্রকে খুন করেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শংকর চন্দ্রকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের কাঞ্চন গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র করের ছেলে শংকর চন্দ্র কর (৩৫) চুপাইর গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের মেয়ে প্রিয়াংকা চন্দ্র রায়কে (২২) আট মাস আগে বিয়ে করেন।শংকর পেশায় একজন কৃষক। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে টানাপোড়েন চলছিল। কথায় কথায় শংকর স্ত্রীকে মারধর করতো।

সোমবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে। পরে দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।এক পর্যায়ে তা থেমেও যায়। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে প্রিয়াংকাকে তার মা ডাকতে গেলে তিনি দেখেন সে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। ঘরের মেঝেতে ভাত ছড়ানো ছিটানো এবং বিছানায় শুয়ে আছে শংকর।

পরে প্রিয়াংকার মায়ের আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে শংকরকে আটক করে এবং থানায় খবর দেয়।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় শংকর চন্দ্র করকে আটক করা হয়েছে।   

আহত প্রিয়াংকাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রিয়াংকাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টানুযায়ী তার গলায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।