রাজাপুরে মাদ্রাসার জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রিন্টঅঅ-অ+
ভাষা আন্দোলনেরও ৫ বছর পূর্বে ১৯৪৭ সালে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা-ঘিগড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম-সুখ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। স্থানীয় কতিপয় দুস্কৃতিকারীদের কারণে মাদ্রাসার নিজস্ব ১শ ৯ শতাংশ জমির ৭২ শতাংশ জমিই বর্তমানে বেদখলে রয়েছে। মাদ্রাসা সংলগ্ন জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি দোকান।
বেদখলকৃত জমি দখলমুক্ত করতে চলমান রয়েছে একাধিক মামলা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারীকৃত জমিতে ২২ আগষ্ট অবৈধ দখলদাররা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও সংশ্লিষ্ট শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ। এসময় নির্মাণকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে। এঘটনায় মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এবং দখলকারীরা পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি।
মাদ্রাসা সূত্রে জানাগেছে, মোট ১শ ৯ শতাংশ জমির ৭২ শতাংশ জমিই বর্তমানে অবৈধ দখলে রয়েছে। এ জমিগুলো উদ্ধার এবং দখলমুক্ত করতে ৪ টি মামলা চলমান রয়েছে। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। গত ২২ আগস্ট শনিবার সকালে শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান ও কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসেন। তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে স্থানীয় নুরুল হকের ছেলে আসাদের মাদ্রাসা সংলগ্ন কেওতা বাজারের নির্মানাধীন দোকান নিয়ে বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দোকান নির্মাণের কাজ চালাচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তাতে নিষেধ করলে নির্মাণ শ্রমিক ফোরকানের পুত্র স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল ফকির শাবল দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে চেয়ারম্যান সমর্থক ও নির্মাণকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে নির্মাণ শ্রমিক ফোরকান ফকির, ও তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল ফকির, দোকান মালিক আসাদ, নুরুজ্জামানসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
দোকান নির্মাণকারী আসাদ বলেন, শনিবার সকালে নির্মাণাধীন দোকানের সামনে এসে ইউপি চেয়ারম্যানের আবুল কালাম আজাদ দোকান ভাঙতে বলায় অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করলে ছেলে বেল্লাল পিতাকে মারধর করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাবল দিয়ে চেয়ারম্যানকেও একটি পিটান দেয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই দোকান ঘরের জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওই জমিতে দোকান ঘরের কাজ করতে ছিলো। আমি তাতে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। এঘটনায় উভয় পক্ষ থেকেই রাজাপুর থানায় পাল্টপাল্টি মামলা দায়ের করে। মামলায় ২৫ জন নামধারীসহ অজ্ঞাত অর্ধশত আসামী রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।