হাতিয়ায় সড়ক ও এলজিইডি'র কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট
যুগ যুগ ধরে হাতিয়া দ্বীপের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পাকা রাস্তার কোটি কোটি টাকার পাথর, ইট, কনা ও ব্রিজ এক শ্রেণির লুটেরা প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। নদী গর্ভে বিলীন হওয়া এসব রাস্তার রক্ষক সড়ক বিভাগ ও এলজিইডি দেখেও কোন ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্যোগ না নেওয়ায় এমনটি হচ্ছে। ফলে লুটেরা বাহিনী প্রতিদিন নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকা রাস্তার মালামাল তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্পট কোটেশনের মাধ্যমে নিলাম দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা আয় করে সরকারের কোষাগারে জমা করতে পারে।
সূত্রে প্রকাশ, বিগত ২০ বছর ধরে নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নে এলজিইডির আওতাধীন প্রায় ১০০ কি.মি. গ্রামীন পাকা সড়ক ও ২০ থেকে ২৫টি কলভার্ট এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ১৫ কি.মি. প্রধান সড়ক ও এরমধ্যস্থ ৬/৭ টি ব্রিজ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি নিলাম নিয়েছে দাবী করে প্রতিদিন রাস্তার ইট, কনা ও পাথর উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এচক্রটি রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া এসব মালামাল পুনরায় বাজার মূল্যের চেয়ে কিছুটা কম মূল্যে স্থানীয় ঠিকাদারদের নিকট বিক্রি করছে। ঠিকাদাররা এসব পুরাতন মালামাল পুনরার সরকারি বিভিন্ন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে। অর্থাৎ একটি অপরাধ পরবর্তীতে একাধিক অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।
বর্তমানে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার সরকারি বিভিন্ন রাস্তার মালামাল তুলে নিয়ে আফাজিয়া বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি মাঠে স্তুপ দিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ কর্তপক্ষ এসব বিলীন হওয়া রাস্তা ২০/২৫ ফুট করে প্রতিনিয়ত স্পট কোটেশনের মাধ্যমের নিলামের উদ্যোগ গ্রহন করত তাহলে সরকার এ খাত থেকে এ যাবত কোটি টাকা আয় করতে পারত। এমন একটি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবে যুগ যুগ ধরে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত।
এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ, গত ৬/৭ দিন আগে আফাজিয়া তেমুহনীর উত্তর পার্শ্বে প্রধান সড়কের পূর্ব পাশের কয়েক লক্ষ টাকার প্যালাসাইড অবু তাহের তুলে নিয়ে যায়। সে স্থানীয় লোকজনকে প্রায় সময় বলে বেড়াচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত রাস্তা সে সড়ক বিভাগ থেকে নিলাম নিয়েছে। এ ব্যাপারে আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করলে সে নিলামের বিষয়টি অস্বীকার করে রাস্তার পাশের লোকজন রাস্তার মালামাল উঠিয়ে আমার কাছে বিক্রি করছে। আমি তাদের কাছ থেকে নগদ মূল্যে কিনে নিই মাত্র।
তার এ বক্তব্যের বিপরীতে এলাকাবাসী জানায়, রাস্তার পার্শ্ববর্তী লোকদের কাছ থেকে রাস্তার মালামাল কিনে নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়, বরং সে এসব লোকদের দৈনিক মজুরীর বিনিময়ে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজেই রাস্তার মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান তাকে একাজে অভয়সহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ায় কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করছে না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।