গাইবান্ধায় বন্যায় ফসলহানি : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি
গাইবান্ধা জেলায় ভাদ্র মাসের এই অকাল বন্যায় জেলার বন্যা কবলিত ৬টি উপজেলায় শাকসবজি, মসলা ও ডাল জাতীয় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ সমস্ত জিনিসের সরবরাহ কমে যাওযায় আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া নদ-নদী ও খাল-বিল পানিতে উপচে পড়ায় এখন মাছ ধরা পড়ছে না বলে বাজারে মাছের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। ফলে এই মৌসুম সময়েও মাছ উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন জেলা শহরের প্রধান প্রধান বাজার ও গ্রামের বড় বড় হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে পিয়াজ, মরিচ, আদা, রসুনসহ সকল শাকসবজির মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে পিয়াজ প্রতিকেজি ৮০ টাকা, মরিচ ১৬০, বেগুন ৪৮, পটল ৪০, কচু ২০, পেঁপে ২৪, ঝিঙা ও করলা ৪৮, দেশী করলা ৮০, বরবটি ৪৮, পাতাকপি ৬০, আদা ১২০, রসুন ৮০, সুট মরিচ ১০০, আলু ২০, শাক-সবজি ২৮।
এদিকে শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও চালের দামের কোন তারতম্য হয়নি। এখনও গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারগুলোতে চিকন চাল ৩০ টাকা, মোটা চাল ২৮, আতপ চাল ৬৫ টাকা।
অপরদিকে, অবিরাম বৃষ্টিপাতে গাইবান্ধার অন্যান্য নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে জেলার বন্যা কবলিত গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়িতে নদী ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে রোপা আমন চারা ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। ক্ষেত থেকে সম্পুর্ণ পানি সরে না যাওয়ায় তারা নতুন করে আমন চারা বা সবজি চাষ করতে পারছে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে শাক সবজি ও রোপা আমন ধান উৎপাদন বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া মাছ চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।