প্রেমিকা নিয়ে ভাইয়ের পলায়নে দুই বোনকে ধর্ষণ করার সাজা
দলিত সম্প্রদায়ের যুবক উচ্চবর্ণের এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সাজা হিসেবে তার দুই বোনকে ধর্ষণের সাজা দিয়েছে গ্রাম্য আদালত।
গ্রাম্য পঞ্চায়েতর বিচারের রায় অনুযায়ী মিনাক্ষী কুমারী (২৩) এবং তার বোনকে ধর্ষণের পর তাদের মুখ কালো করে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো হবে। এই পরিষদের সব সদস্যই পুরুষ।
ঘটনাটি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে উত্তর প্রদেশে ঘটেছে।
পাশবিক এই শাস্তি থেকে রক্ষায় দুই বোন সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন।
ভারতে কুখ্যাত ‘চোখের বিনিময়ে চোখ’ নামের গ্রাম্য আদালতে এ ধরনের সাজা দেওয়া হয়।
দলিত বা অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের ওই যুবক উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পুলিশও ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। উপায়ান্তর না দেখে ওই যুবক গত মার্চে আবার বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এরপর পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় যে ভাইয়ের কথিত অপরাধের জন্য তার পরিবারের ওপর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে।
ওই সাজা ঘোষণার পর দুই বোন পালিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে তাদের রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। তবে বাড়িতে ফিরলেই তাদের ওপর বর্ববর এই সাজা প্রয়োগ করা হবে।
ভারতের গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত এ ধরনের সাজা প্রায়ই দিয়ে থাকে যাকে অনার কিলিং বলা হয়।
ভারতের আইনি কাঠামোর বাইরে পঞ্চায়েত এ ধরনের আদালত পরিচালনা করে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য পঞ্চায়েত আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে মন্তব্য করেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, টেলিগ্রাফ
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।