গাইবান্ধায় বন্যায় ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী
করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি ও সদর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করতোয়ার পানি ১০ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ৩৪ সে. মি. এবং ব্রহ্মপুত্র ১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।
করাতোয়া নদীর পানি অব্যাহত থাকায় গোবিন্দগঞ্জের পৌর এলাকার চক গোবিন্দ, খলসির চাঁদপুর, সাহাপাড়া, খলসি, আরজি খলসি, কাইয়াগঞ্জ, কুটিবাড়ি, বোয়ালিয়া, কালিকাডোবা, তরফমনু, রহিমাপুর, তালুকসহ মহিমাগঞ্জ, দরবস্ত, তালুককানুপুর, ফুলবাড়ি, শালমারা, রাখালবুরুজ, হরিরামপুর ও সাপমারা ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা এখন বন্যা কবলিত।
এদিকে বন্যার পানির তোড়ে মহিমাগঞ্জের বোচাদহ গ্রাম সংলগ্ন বালুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় শিবপুর কোচাশহর ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা নতুন করে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সাব রেজিষ্ট্রার অফিস চত্বর, মহিলা কলেজ এবং উপজেলা পরিষদ ভবন সংলগ্ন কুটিবাড়িও এখন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর মহাসড়কে তরফমনু এলাকায় করতোয়ার পানি যেকোন মুহুর্তে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন রাস্তায় বালির বস্তা ফেলে পানি উঠা বন্ধ করার চেষ্টা এখনও অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলার ৬ উপজেলায় বন্যা কবলিত হওয়ায় ৩ হাজার ৫শ’ ৪৯ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ ও আমন ধান এবং সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬টি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের ২১৩ গ্রামের ১ লাখ ৩৫ হাজার ১০২ জন মানুষ এখন পানিবন্দী। এ পর্যন্ত বন্যা দুর্গত এলাকায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ১শ’ ৩০ মে. টন চাল ও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।