গাইবান্ধার ৪ নদীর পানি বিপদসীমার কাছে
গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপুত্র নদ সংলগ্ন ৩টি গ্রামে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই মিল্টন জানান, গত রাত থেকেই তিস্তা নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার চরাঞ্চলের বাড়িঘরগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে গাইবান্ধায় সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চলসহ বালাসী ঘাটের আশপাশের অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বন্যা কবলিত মানুষ গবাদি পশু নিয়ে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া শুরু করেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ফুলছড়ির তিনটি গ্রামের ভাঙনের পয়েন্টগুলো চিহ্নিত ও পর্যবেক্ষণ করতে কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।