জেনে নিন ৯টি ভয়ংকর সত্যি
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৯ আগস্ট, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
অনেক সময় কোনো ওষুধ একটি রোগ সারিয়ে তুললে, সেই ওষুধই অন্য একটি অসুখকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখে। এমনকি এক্স রে রশ্মিও আমাদের শরীরে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের জন্ম দেয়। ওষুধের প্রভাবে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে
১. ওষুধে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে- সাধারণত ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে, বেশ কয়েকটি ওষুধের প্রভাবে ডায়াবেটিস হতে পারে। অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট, ঘুমের ওষুধ, কফ সিরাপ এবং বাচ্চাদের এডিএইচডি (অতিসক্রিয়তা) ওষুধ থেকে মধুমেহ বাড়তে পারে। এই ওষুধের প্রভাবে শরীরে ইনসুলিন কমে যায়, যার ফলে ব্যক্তি মধুমেহ রোগে আক্রান্ত হয়।
২. কোনো কারণ ছাড়াই লাগানো হয় কয়েকটি ভ্যাক্সিন- বেশ কয়েকটি ভ্যাক্সিন ফ্লু ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে, যেমন- ডিটিএপি, যা বাচ্চাদের দেওয়া হয়। তবে বি পারটিউসিসের মতো সাধারণ রোগের মোকাবিলায় এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। কিন্তু ডিটিএপি ভ্যাক্সিন ফুসফুসের ইনফেকশানকে আমন্ত্রণ জানায়, যা ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে দুর্বল করে দেয়।
৩. ক্যান্সার সব সময় ক্যান্সার নয়- স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই ক্যান্সার হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসকই স্তন ক্যান্সার চিনতে পারেন না। অনেক সময় স্তনে কোনো গাঁঠ বা জমাট অংশ দেখে, ক্যান্সার মনে করে তার চিকিৎসা করা হয়। যা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ক্যান্সার হয় না। উদাহরণ স্বরুপ- হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শুধু এই আশঙ্কায় ম্যাসেকটমি করান, যে তাঁর শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জিন পাওয়া গিয়েছে।
৪. ওষুধেও ক্যান্সার হয়- রক্তচাপের ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা ৩ গুণ বৃদ্ধি পায়। কারণ, রক্তচাপের ওষুধ শরীরে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে শরীরে কোষের মৃত্যু বেড়ে যায়। যার ফলে মৃত কোষ ক্যান্সারের সৃষ্টিতে একত্রিত হয়।
৫. অ্যাসপিরিন নিলে শরীরে ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়- হার্ট অ্যাটাক বা রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে যে অ্যাসপিরিন দেওয়া হয়, তা ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের আশঙ্কা প্রায় ১০০ গুণ বাড়িয়ে দেয়। অ্যাসপিরিনের প্রভাবে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ দুর্বল হয়ে যায় এবং রক্ত পড়তে শুরু করে। একটি সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে, যে রোগীরা দৈনিক অ্যাসপিরিন খান, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার রোগীর ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়।
৬. এক্স-রে থেকে ক্যান্সার হয়- আপনারা কি জানেন, এক্স রে-র রেডিয়োঅ্যাক্টিভ রশ্মি ক্যান্সার জন্ম দেয়। একটি সাধারণ এক্স রে-র ফলে শরীরের যে ক্ষতি হয়, তা সেরে উঠতে অন্তত এক বছর সময় লাগে।
৭. বুকে জ্বালার ওষুধ অন্ত্রের আলসারকে আমন্ত্রণ জানায়- অনেক সময় খাবার বা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ব্যক্তির পেটের অসুখ হয়। এর ফলে বুকে জ্বালাও হতে পারে। এর জন্য চিকিৎসকরা অ্যান্টি-গ্যাসট্রিক ওষুধ দিয়ে থাকেন। এই ওষুধের ফলে অন্ত্রের আলসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পাশাপাশি হাড় ক্ষয় পেতে শুরু করে, শরীরে ভিটামিন বি-১২ অ্যাবজর্ব করার ক্ষমতা কমে যায়। কিছু ওষুধ অসুখ সারিয়ে তুলতে পারে না, তবে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরে পক্ষে খুব ক্ষতিকারক।
৮. ওষুধ এবং ল্যাব টেস্টে কমিশন পান চিকিৎসকরা- ওষুধে অনেক কমিশন পান চিকিৎসকরা। আবার কোনো বিশেষ ল্যাবরেটরিতে চিকিৎসকরা টেস্ট করানোর কথা বলেন, সেখান থেকেও ভালো কমিশন পান তাঁরা।
৯. সর্দির কোনো ওষুধ নেই- নাকের ভেতরের অংশ ফুলে গেলে সর্দি হয়। এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞান এর কারণ খুঁজে বার করতে পারেনি। এর কোনো কার্যকরী চিকিৎসাও খুঁজে বার করা যায়নি। সর্দি হলে চিকিৎসকরা অ্যান্টি-বায়োটিকস প্রেসক্রাইব করে থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, ৪-৭ দিনের মধ্যে সর্দি নিজেই ঠিক হয়ে যায়। সর্দিতে ওষুধের কোনো প্রভাবই পড়ে না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।