- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ৩ দিনের রিমান্ডে
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ৩ দিনের রিমান্ডে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক হামিদুল ইসলাম। প্রবীর সিকদারকে দশদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে সরাসরি আদালতে নেওয়া হয়। কোতোয়ালি থানার জিআরও সুবীর দে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে রবিবার সন্ধ্যায় প্রবীর সিকদারকে তাঁর রাজধানীর ইন্দিরা রোডের অনলাইন পত্রিকা অফিস থেকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। রাত ১২টার দিকে তাঁকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়েছে। আদালতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চ এবং বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রবীর সিকদারের বাবাসহ তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে হত্যা করে। ২০০১ সালে জনকণ্ঠ পত্রিকার ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকাকালে রাজাকারদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন লেখার পর সন্ত্রাসীদের হামলায় তাঁকে একটি পা হারাতে হয়। বর্তমানে তিনি দৈনিক বাংলা ৭১, উত্তরাধিকার-৭১ নিউজ অনলাইন পত্রিকা ও উত্তরাধিকার নামের এক ত্রৈমাসিক পত্রিকার সম্পাদক।
মামলার আরজিতে বাদী বলেন, প্রবীর সিকদার গত ১০ আগস্ট বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। শিরোনাম ছিল ‘আমার জীবনের শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’। শিরোনামের নিচে তাঁর মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী থাকবেন—এমন তিনজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। এঁদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন মাননীয় এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম। স্ট্যাটাসটি পড়ে আমার দৃঢ়বিশ্বাস হয় যে, প্রবীর সিকদার ইচ্ছাকৃতভাবে গণমানুষের প্রিয় নেতা মোশাররফ হোসেন সম্পর্কে অসত্য লেখা লিখে মাননীয় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। লেখাটি জনসমক্ষে প্রকাশের মাধ্যমে উসকানি প্রদান করে শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে মাননীয় মন্ত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এতে মাননীয় মন্ত্রীর মানহানি ঘটেছে। যা একটি ফৌজদারি অপরাধ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।