জাতীয় নির্বাচনের জন্য ফর্মুলা দিযেছেন হাইকোর্ট
নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ফর্মুলা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিটের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে।
প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর তিনিই নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। ভোটের হারের অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে মন্ত্রী নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ফর্মুলায় রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগির তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে।
প্রথম ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না। তবে দ্বিতীয় ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এবং বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়েছে।
তবে হাইকোর্ট একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা নিরসনে বিভিন্ন সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর ফলে গত বছর ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বয়কট করে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল। ওই নির্বাচনে ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টি নেতা খোন্দকার আবদুস সালাম হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই বলেও অভিমত দেয় আদালত।
হাইকোর্ট বলেন, একটি মুক্ত, ন্যায্য ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজন রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক দায়িত্ব। হোক সেটা সংসদের ৫ বছরের মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগে বা পরে। অনেক সাংবিধানিক কার্যাবলির মধ্যে, যেমনটি আমাদের সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে লেখা আছে, জাতীয় নির্বাচন ব্যতীত কেউই গণতন্ত্র বা আইনের শাসন পরিচালনা ধারণ করতে পারে না। তাই, দেশের সব রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো, নির্বাচনের পূর্বে একটি নির্বাচন-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা ও নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখা এবং একইভাবে নির্বাচন কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।