চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাদের চাপে নাভিশ্বাস উঠতে বসেছে নোকিয়া, ব্ল্যাকবেরির। শেয়ারের দাম যেভাবে পড়তে শুরু করেছে এই দুই সংস্থার, তাতে গণেশ উল্টাতে বেশি দেরি নেই। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন এইচটিসি -রও। গত দশ বছরের মধ্যে এবছরই সবথেকে বেশি দাম পড়ল সংস্থার শেয়ারের। যদিও এখনই কর্মী ছাঁটাই করা হবে কি না, সে কথা খোলসা করেনি তাইওয়ানের এই সংস্থা।

এখন যা প্রবণতা, তা বজায় থাকলে  লাটে উঠতে বেশিদিন লাগবে না। পরিসংখ্যান বলছে কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ নেমে এসেছে ১৫০ কোটি টাকায়। কিন্তু এক সময় স্মার্টফোনের জগতে সাড়া ফেলে দেওয়া এই কোম্পানির এই হাল হল কী করে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচটিসি মূলত নজর দিয়েছিল হাই এন্ড ফোন বিক্রির দিকে। কিন্তু সেই বাজার ক্রমশ দখল করেছে স্যামসংয়ের মতো ব্র্যান্ড। আর লো এন্ডে বাজার দখল করে বসে আছে বিভিন্ন চীনা ব্র্যান্ড। ফলে বাজারে নিজের অবস্থান খুঁজে পাচ্ছে না এইচটিসি।

অথচ এই তাইওয়ানিজ সংস্থাই আইফোনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রথম উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে মাল্টিটাচ ফিচার লঞ্চ করেছিল। ‌যা সাড়া ফেলেছিল সেই সময়। প্রথম বাণিজ্যিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন ড্রিম বাজারে এনেছিল এই এইচটিসি। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিশা হারিয়েছে এইচটিসি। সংস্থাকে টিকিয়ে রাখতে আপাতত লোকছাঁটাই ও পণ্যের দাম কমানো ছাড়া উপায় নেই সংস্থার। গত এক বছরে ৬০ শতাংশ পড়েছে এইচটিসি -র শেয়ারের দর। সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার চ্যাং চাইলিন বলছেন, " এখন আমরা শুধুই লাভের দিকে এগোতে চাই।