বিদ্যালয় না মরণ ফাঁদ
মিসু সাহা নিক্কন, লক্ষ্মীপুর
প্রিন্টঅঅ-অ+
প্রয়োজনীয় শিক্ষক, একটু বাতাস হলেই আতংক এবং যখন তখন পলেস্তার খসে পড়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। পুরো ভবনটির নিচতলা কয়েক বছর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। পাঠদানের পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে। আর সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান দিতে পারছে না শিক্ষকরা, তাদের মধ্যেও চরম আতংক বিরাজ করছে। একটু বাতাস হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাঠে। পাশাপাশি অনেকটা চিন্তিত ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবক মহল।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন এক করুন দৃশ্য। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস শহীদ জানান, আমাদের এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সনে স্থাপিত হয়। ২০০০ সনে নব নির্মিত ভবনটির নিচ তলা নির্মিত হয় এবং ২০০৪ সনে তা দ্বিতলা ভবনের রুপান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন রূপ নিলে নতুন ভবন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি বেশ কয়েকবার চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তারা কয়েকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করলেও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমাম উদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরেও নতুন ভবন ও বিদ্যালয়টি মোরামতের কোন কাজ এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তবে অচিরেই কাজটি হবে বলে তিনি আশাবাদী। ইতি মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানও বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন।
অভিভাবক শাহিনুর বেগম জানায়, স্কুলে এমন অবস্থায় আমরা সঙ্কিত। ভবনের যে অবন্থা যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুলটি যেন মৃত্যুকূপে পরিনত হয়ে আছে। এতে আমরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ হারাচ্ছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আছে, আমি সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসিনা ইয়াসমিন বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে তা ঢাকা পরিকল্পনা উন্নয়ন শাখা থেকে আমাদের কাছে তালিকা চেয়েছে। আমরা তালিকায় শহর কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দিয়ে পাঠিয়েছি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাসিক মিটিংয়ে রেজুলেশান পাঠ করে শুনানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে অচিরেই বিদ্যালয়টির কাজ করানো হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।