নাজিরপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিতা: এসআই সাময়িক বরখাস্ত
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে বখাটে প্রেমিক। ধর্ষিতা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। পরে ফাঁড়ি পুলিশে এক এসআই ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ফাঁড়ির এসআইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জের সহায়তায় ধর্ষিতা ওই ছাত্রী ও তার পিতাকে উদ্ধার করে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার এক বন্ধুকে আসামী করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুগারজোর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র সরিফুল ইসলাম (২৫) ও তার বন্ধু স্থানীয় আবুল কালামের পুত্র মামুন (২৮) এর সহায়তায় স্থানীয় বৈঠাকাটা মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের অভিনয় করে গত ৬ এপ্রিল ধর্ষন করে। এর পর বিভিন্ন সময় ধর্ষন করলে এতে সে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতা ছাত্রী তার ধর্ষক প্রেমিক জানালে সে বিয়ের প্রলভোন দেখিয়ে ধর্ষক বন্ধু মামুনের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী নেছারাবাদ একটি ক্লিনিকে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটায়।
এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের আইসি আঃ বারেক ও সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নান্না মিয়ার ছোট ভাই আ.লীগ নেতা সাঈদ এ ২ জনের সহায়তায় ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকির মুখে এলাকা ছাড়া করে।
নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছির উদ্দিন মল্লিক জানান, ধর্ষিতা ও তার পরিবার থানায় এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজ্জু করি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।