এসিডে ঝলসে গেলো গাইবান্ধার মুকুল
ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলার বাদি মনোয়ারা বেগমের স্বামী মুকুল মিয়াকে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মুকুলকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং পুলিশের ইন্ধনে এসিড ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটতে পারে বলে মুকুল মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
মুকুল মিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, মুকুল মিয়া রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মহিমাগঞ্জ বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে জিরাই গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। মহিমাগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা পার হওয়ার পর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তার পথ রোধ করে মোটর সাইকেল থামায়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা মুকুল মিয়ার শরীরে এসিড ছুড়ে মারে। এতে তার বুক ও পীঠের বেশীভাগ অংশ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। তার আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে এসিড বার্ণ ইউনিট না থাকায় মুকুল মিয়াকে রাতেই বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, মুকুল মিয়া ও তার স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের লাজনীন বেগমের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি লাজনীন বেগমের এক মামলার আসামি মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে গোবিন্দগঞ্জ থানার কতিপয় পুলিশ সদস্য তার বাড়িতে আসে। এসময় মুকুল মিয়া বাড়িতে না থাকা পুলিশ সদস্যরা তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় তার দুই জা হালিমা বেগম ও ফাহিমা বেগমের শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। এই ঘটনায় মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম, এসআই ফজলুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান, তুহিন, ও গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে চলতি বছর ৩১ মার্চ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।