সাতক্ষীরার গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা স্থল বন্দর সংলগ্ন খাটালে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক গরু প্রতি তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাহিদা মত চাঁদার টাকা না দিলে খাটাল মালিক ও তার লোকজন গরু ব্যবসায়ীদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করছে। খাটাল মালিকের হয়রানির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের পক্ষে সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীদাড়ি গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ মাসুদ হোসেন স্বরাষ্টমন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গরু ব্যবসায়ী মাসুদ হোসেন ভোমরা করিডোরে গরু প্রতি ৫’শ টাকা হারে রাজস্ব দিয়ে খাটালে গরু আনতে গেলে খাটাল মালিক লিয়াকত ও ম্যানেজার রবিউল তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি সিও বিজিবিকে জানালে তিনি স্থানীয় ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে দেখা করতে বলেন। পরে ক্যাম্প কমান্ডারের কথা মত খাটালে গরু আনতে গেলে ম্যানেজার রবিউল ও তার লোকজন তাকে বেদম মারিপট করে। একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে চলে আসেন। পরে স্থানীয় জনগণের চাপের মুখে তার গরু ও করিডোরের কাগজ ফেরত দেয়া হয়।
তিনি বলেন, মৃত. লুৎফার রহমানের ছেলে লিয়াকত ও তার সহযোগি মোহন্ত রায়ের ছেলে চঞ্চল ভোমরা খাটালের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক মোটা অংকের চাঁদা আদায় করা শুরু করে। সরকারি রাজস্ব ফি ৫’শ ও অনান্য খরচ বাবদ আরো ২ থেকে ৩’শ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও খাটাল মালিকরা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক তিন হাজার টাকা আদায় করে থাকে। টাকা না দিলে তাদেরকে নানা ভাবে নির্যাতন করা হয়। লিয়াকত ও চঞ্চলের অত্যাচারের কারনে ভোমরা সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
একই সাথে দরখাস্তের অনুলিপি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপরে ভোমরার খাটাল মালিক লিয়াকত তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাটাল নবায়ন করার সময় হয়েছে বিধায় তিনি নিজে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তিনি যাতে এবার খাটালের ইজারা না পান সেজন্য প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ করেছে।
অপর খাটাল মালিক চঞ্চল ভারতে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।