কোমেন থেকে বাঁচতে নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছে ট্রলার
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩০ জুলাই, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
ঘূর্ণিঝড় কোমেন মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাগেরহাটের প্রশাসন। সাগরে অবস্থানরত সব মাছধরা ট্রলার ও নৌকা সুন্দরবনের নদী ও খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল উদ্দিন ট্রলারগুলোর নদী-খালে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ২০৭টি সাইক্লোন শেল্টার। বাতিল করা হয়েছে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সার্বক্ষণিক দুর্যোগ প্রস্তুতি মনিটরিংয়ের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাইকিং করে উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মংলার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছা সেবকদের। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব কুমার রায় বলেন, এখনো রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সর্তক অবস্থায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে আরো অগ্রসর হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এসময় জেলা প্রশাসন ও সব সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মংলাসহ উপকূলে আবহাওয়া দফতরের জারি করা পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।