রামগঞ্জে স্লুইস গেট অকেজো, পানিবন্দি ৮ গ্রাম
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের (সিআইপি) আওতাধিন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট অকেজো হওয়া প্রকল্পের ভেতরে বাইরের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে প্রকল্প এলাকার ৮ গ্রামের মানুষ ১০ দিন ধরে পানিবন্দি জীবনজাপন করছেন।
বিষয়টি সিআইপি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এতে গ্রামগুলোর আমন বীজতলা, পুকুরের মাছ ও মাছের ঘের ডুবে প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতির দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাদঁপুর সেচ প্রকল্পের বড় খালের বাঁধে দাসপাড়া গ্রামের চনখলায় ২০০৫ সালে প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। স্লুইস গেটটি নির্মাণের ২ বছরে মধ্যে একটি ডালা চুরি হয়ে যায়। পাশে থাকা ডালাটি এ বছর নষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়।
এদিকে ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে পানি বের্ডে যাওয়া স্রোতের বেগে ওই গেই দিয়ে প্রকল্পের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দাসপাড়া, মজুপুর, শ্যামগঞ্জ, রসুলপুর, পানপাড়া, টামটা, আঙ্গারপাড়া ও বিঘা গ্রামের জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামের মানুষ ১০ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনজাপন করছেন।
আঙ্গারপাড়া গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, দিন দিন পানি বাড়তে দেখে গৃহপালিত পশু-পাখি নিকট আত্মীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দাসপাড়া গ্রামের মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘স্লুইস গেটের ডালার সমস্যার কারণে রাতদিন বাঁধের বাইরের পানি প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করছে। এতে স্থানীয় লোকজনের প্রায়১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমরা একাধিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেও কোনো লাভ পাচ্ছি না।’
লামচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মফিজ উল্যাহ বলেন, বিষয়টি চাদঁপুর সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও তারা কোন ব্যাবস্থা করে নাই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।