দামুড়হুদায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে ভাসুর খুন
শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা
প্রিন্টঅঅ-অ+
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের উত্তর পাড়ায় স্বামী হত্যার বদলা নিতে ভাসুর রহমতুল্লাকে (৬০) ধারালো অস্ত্র (হেসো) দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে নিহতের ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী মিনা খাতুন (৪৫)। এসময় নিহত রহমতুল্লার স্ত্রী আমেনা বেগমকেও (৫০) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
স্থানীয়রা তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে খুনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মদনা উত্তর পাড়ার মৃত রইছদ্দিনের ছেলে কাশেমকে বছর দেড়েক আগে তার বড় ভাই রহমতুল্লাহ ও তার ছেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ওই মামলায় দীর্ঘদিন হাজত বাসকরে সম্প্রতি রহমতুল্লাহসহ তার ছেলেরা জামিনে বাড়ি ফেলে।
কাশেম হত্যার বদলা নিতে তার বিধবা স্ত্রী মিনা খাতুন (৪৫) ও তার ২ ছেলে ছেলে আইনাল হোসেন (২৫) ও ফরজ আলীকে (২২) সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে রহমতুল্লার বাড়িতে দেশীয় ধারাল অন্ত্র হাতে চড়াও হয়ে তাকে আচমকা কোপাতে থাকে। এসময় রহমতুল্লার স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে ঘেলে তাকেও এলাপাতাড়ি ভাবে কোপায় তারা। ছোট ভায়ের বৌ ও তার ২ ছেলের ধারালো অন্ত্রের কোপে ক্ষত বিক্ষত রহমতুল্লা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় রহমতুল্লার স্ত্রী আমেনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ দিকে হত্যা ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর ১ টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান ও ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান। তবে হত্যাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত রহমতুল্লার লাশ উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। হত্যাণ্ডের সাথে জড়িতরা গা ঢাকা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর মৃত রইছদ্দিনের দু ছেলে রহমতুল্লা ও আবুল কাশেমের মধ্যে শরিকানা দু শতক জমি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় রহমতুল্লার ছোট ভাই আবুল কাশেম নিহত হয়। স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ওই হত্যাকাণ্ডের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসিরা জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।