সেই আফগানি নারীর হত্যাকারীদের সাজা হ্রাস
কোরান শরিফ পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে এক তরুণীকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির শাস্তি কমিয়ে ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আফগানিস্তানের একটি আপিল আদালত।
বুধবার আদালতের দেওয়া এ রায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকে আদালতের রায়ের নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
গত মার্চে আফগানিস্তানের কাবুলে ফারখুন্দা মালিকজাদা নামের ওই তরুণীকে একটি মাজারের কাছে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রথমে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত নিশ্চিত হয়েও তাঁর শরীরের উপর দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। তারপরে ক্ষতবিক্ষত দেহটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
আদালতের রায়ে সেই মাজারের খাদেমকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় আফগানিস্তানের নারী অধিকার কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মে মাসে নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত আটজনের ১৬ বছর করে কারাদণ্ড ও অপর চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল।
ফারখুন্দার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই মাসের শেষ দিকে ১১ পুলিশ সদস্যকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। অন্য আট পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আপিল আদালত চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের শাস্তি কমিয়ে তাদের প্রত্যেককে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে।
আপিল আদালতের রায়ে অভিযুক্ত মাজারের খাদেম ওমরানকে খালাস দেওয়া হয়। এই ওমরানের সঙ্গে ফারখুন্দার কথা কাটাকাটির পর তার ইন্ধনেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ওমরানই ফারখুন্দার বিরুদ্ধে কোরান পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।
আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কাবুলের নারী অধিকার কর্মী ওয়াসজিমা ফ্রজ বলেছেন, “পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই অবিচারের একটি দৃষ্টান্ত। এটি প্রমাণ করেছে, শুধু তালেবানরা নয়, আফগানিস্তানের পুরো পদ্ধতিটাই নারীদের দাবিয়ে রাখার পক্ষে।”
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।