২৫ কোটি টাকার অবিক্রিত চিনি নিয়ে বিপাকে রংপুর চিনিকল
মোঃ পিয়ারুল ইসলাম, গাইবান্ধা
প্রিন্টঅঅ-অ+
কয়েক দফা দাম কমিয়েও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপর চিনিকলের উৎপাদিত চিনি বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। এদিকে ওই চিনিকলের ৮শ’১২ জন শ্রমিক-কর্মচারী ৩ মাস যাবত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় এই ঈদ-রোজার মাসেও চরম বিপাকে পড়েছে।
রংপুর চিনিকল সুত্রে জানা গেছে, উৎপাদিত চিনি অবিক্রিত থাকায় অর্থাভাবে এ পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রায় ২ কোটি টাকা বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ গত দু’বছরে প্রতি কেজি চিনির দাম প্রথমে ৫০ থেকে ৪৫ টাকা, এর পরে ৪৫ থেকে ৪০ টাকা এবং সর্বশেষে ৩৭ টাকায় নামিয়ে আনলেও বাজারে চিনি বিক্রয় হচ্ছে না। কারণ এ সব কারখানায় চিনির দাম কমানোর সাথে সাথে বেসরকারি চিনিকলগুলোর চাইতে ৪ থেকে ৫ টাকা করে দাম কমিয়ে দেয়।
মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলেই অবিক্রিত চিনি ছিল ৬ হাজার ৯শ’৩২ মেট্রিক টন। চিনি বিক্রি না হওয়ায় রংপুর চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের ২-৩ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে আছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গত ২৫ মে থেকে বিএসএফআইসি ১ ও ২ কেজি ওজনের পলিব্যাগে চিনি প্যাকেট করে খোলাবাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু তাতেও কাংখিত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে ১ জুলাই বুধবার পর্যন্ত মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলেই অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে ছিলো ২৫ কোটি টাকার ৬ হাজার ৮শ’৬৭ মেট্রিক টন চিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।