লালমনিরহাটে ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট
প্রিন্টঅঅ-অ+
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে জেলার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকে নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করে। হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে বিপদ সীমার ২১ সে: মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
পাউবো সুত্র জানায়, তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা যাচ্ছে না। পানি গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা- দহগ্রাম, হাতিবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চর এলাকার ২৫ গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে।
হাতিবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামে ভেরি বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাধঁ ভেঙ্গে গেলে তিস্তার পানি হাতিবান্ধা শহরে ঢুকে পডবে। ইতোমধ্যে চর এলাকা গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। চর এলাকা গুলো থেকে খবর আসছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এখন পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে কোন খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
সুত্র জানায়, তিস্তা পানি আরও বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে। এ বাধঁ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে।
হাতিবান্ধা উপজেলার চর ধুবনীর মমতাজ আলী, কিসমত লোহালীর আবু বক্কর, পাটিকাপাড়ার রফিকুলসহ অনেক পানিবন্দি পরিবার অভিযোগ করেন, আমরা ২ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোন ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। কেউ আমাদের খোঁজ পর্যন্ত করেনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।