সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাফিলতির কারেন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ত্রিশ মাইল এলাকা থেকে ভৈরবনগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সড়ক সংষ্কারের কাজ শেষ করতে না পারায় গত কয়েক দিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে সড়কে হাটু কাদা জমেছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসসহ পণ্যবাহী সহাস্রারাধিক যানবাহন।
রবিবার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সব যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাককে ভৈরবনগর ইউরেকা ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। খারাপ ওই সড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে অনেক বাস ও ট্রাক রাস্তার মাঝ বরাবর আটকা পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের অর্থায়নে (জিওবি) জেলার তালা উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের আঠারো মাইল থেকে শহরের খুলনা রোড় মোড় পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক সংষ্কারের জন্য ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রিয়ডিক মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় সড়ক ও জনপদ (সওজ) খুলনা জোন দরপত্র আহবান করলে ঢাকার সেগুন বাগিচাস্থ ডাইনকো লিমিটেড (DIENCO Ltd.) কাজটি পায়। চলতি বছরের ৪ জুনের মধ্যে সড়ক সংষ্কারের কাজ শেষ করার শর্তে গত ১৯ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষ করতে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। সড়কটির সংষ্কার কাজের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
ব্যাবসায়ী অমিত কুমার জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি যথাসময়ে সংস্কার কাজ শুরু না করে বর্ষার শুরুতেই খোড়াখুড়ি শুরু করে। আঠারো মাইল এলাকার কাজ অনেক আগেই শেষ করলেও তারা এই এলাকায় কাজ দেরিতে শুরু করেছে। সড়কটির পিচ তুলে মাঠি খুড়ে গর্ত করে রেখে দেয়। ফলে বৃষ্টি শুরু হলে সড়কে হাটু কাদা জমে। কাদার মধ্যে ঝুকি নিয়ে বাস, ট্রাক, টেম্পু, অটোরিক্সা, পিকআপ, রিক্সা ভ্যান, বাই সাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মটর সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে সড়কটিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ দুর্দশার কথা স্বীকার করে জানান, ইতিমধ্যে সড়কের ১১ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে। একটি সড়কে কমপক্ষে ছয়টি লেয়ারে কাজ করা হয়ে থাকে। ভৈরবনগর এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে যে লেয়ার পর্যন্ত কাজ করার কথা ছিল সে পর্যন্ত কাজ করার আগেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কে ইট, বালু ও খোয়া ফেলে গাড়ি চলাচলের উপযোগি করে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চার মাস সময় বর্ধিত করেছে।
তবে এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।