পিরোজপুরে শিক্ষার্থীর মাথায় পড়লো শ্রেণিকক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা
পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে কোচিং ক্লাস চলাকালে ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) খুলে পড়ে এক শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসিন সালমান স্বাধীন (১২) সে এ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে দিবা শাখায় পড়াশুনা করে। স্বাধীন শহরের ধূপপাশা এলাকার মো: হুমায়ূন কবিরের ছেলে। গুরুত্বর আহত স্বাধীনকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাধীনের সহপাঠীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ থাকলেও তারা কোচিং করার জন্য প্রতিদিন সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ে আসে এবং দুপুর ১২টা পর্যন্ত থাকে। মঙ্গলবারও কোচিং করতে তারা বিদ্যালয়ে আসে। কোচিং শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে ছাদ থেকে হঠাৎ একটি ফ্যান খুলে স্বাধীনের গায়ের উপরে পরে।এতে তার কপাল কেটে যায়। আহত স্বাধীনকে তার সহপাঠীরা উদ্বার করে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের রুমে নিয়ে যায়। তখন প্রধান শিক্ষক কিছুই হয়নাই বলে বিদ্যালয়ের ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে স্বাধীনের কপালে দিতে বলে। বরফ দেওয়ার পরও যখন রক্ত পড়া বন্ধ না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক স্বাধীনের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্বাধীনের সহপাঠীরা আরো জানান, এই খসে যাওয়া ফ্যানটি অনেকদিন ধরেই নড়বরে অবস্থায় ছিল। প্রধান শিক্ষককে বারবার বলা সত্ত্বে তিনি এটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেননি।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে জানাযায়, স্বাধীনের কপালের উপরিভাগে ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) পরে কেটে গেছে। কেটে যাওয়া স্থান থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে আশংকা মুক্ত।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সম্পা রানী রায় জানান, শিক্ষার্থীদের মাধ্যেমে ফ্যানের সমস্যার কথা জানতে পেরে সে ১০ দিন আগেই সেটি মেরামত করে। তারপরও এ ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা বুঝতেছি না। তবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কোন প্রকার খবর না প্রকাশের জন্য অনুরোধ করে প্রধান শিক্ষক।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।