ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি স্কুলের ছাত্রীরা ভূতের ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। গত এক মাসে অন্তত ৪০ ছাত্রী ভূতের ভয়ে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

ছাত্রীদের ওপর এই ভূতের উপদ্রব মোকাবেলায় চিকিৎসকরা এখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাইছেন।

উত্তরাঞ্চলীয় জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা চা বাগানে চ্যাংমারি হিন্দি হাই স্কুলে কথিত ভূতের আনাগোনা শুরু হয়েছে গত মাস থেকে। প্রথমে ১৫ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা প্রথমে ভেবেছিলেন গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে গ্রীষ্মের ছুটি দিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ছুটি শেষে স্কুল খুলতেই আবারও শুরু হয় কথিত ভূতের উপদ্রব।

নাগরাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শুভজিৎ হাওলাদার জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল অপুষ্টির কারণে শিশুরা বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছে। তারপরে দেখলাম তারা খাওয়া দাওয়া করেই স্কুলে এসেছে। তাই এটা মানসিক রোগ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এদের চিকিৎসার জন্য।

তিনি জানান, স্কুলের কেবল একটি ক্লাসের ছাত্রীরাই এই ‘ভূত’ দেখতে পাচ্ছে। দুপুর ১২টার পর ষষ্ঠ শ্রেণি কক্ষে ভূতের উপদ্রব শুরু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার সময়েও ভূতের ভয়ে ওই শিশুরা চিৎকার করে চলেছে।

নাগরাকাটা অঞ্চলে ভূতের উপদ্রব নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে। সেখানকার চা-বাগানের ব্রিটিশ মালিক আর ম্যানেজারদের অনেকেই নাকি অপঘাতে মারা গেছেন- তারাই এখন ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ান!

চিকিৎসকরা অবশ্য নাগরাকোটের এই ঘটনাকে একেবারেই একটি কুসংস্কার আর মানসিক বিকার বলছেন। 

সূত্র: বিবিসি

sahos24.com | Online newspaper