খাবারে চেতনাশক মিশিয়ে লুটপাট, অসুস্থ ১২
বাগেরহাট ও মিরসরাইয়ে সেহেরির সময় অচেতন করে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোররাতের পৃথক ঘটনায় ১২ জনের অসুস্থের খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট সদরের রাখাল গাছি ইউনিয়নের সুগন্ধী এলাকায় ঠিকাদারের পরিবারের চারজনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার সেহেরির সময় স্থানীরা অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার পর সকালে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অসুস্থ্যরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের ঠিকাদার আমজাদ আলী (৪৫), তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩৪), মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তন্নী (১৪), ছেলে সাকিব (১১)।
আমজাদ আলীর শ্যালক স্থানীয় সুগন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো: শাহজাহান বলেন, সেহেরীর খাওয়ার সময় পাশের বাড়ির লোকজন ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এবং সকলেই অচেতন অবস্থায় রয়েছে। পরে স্বজনেরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত একজনের কাছ থেকে জানা যায়, দৃর্বৃত্তরা রান্না করা খাবারের সাথে চেতনাশক ঔষুধ মিশিয়ে রেখে ছিল। রাতের খাবার খাওয়ার পর সকলেই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে গভীর রাতে ঘরের টিনের ভেড়া কেটে প্রবেশ করে স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটে নেয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তোজাম্মেল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতরা সুস্থ্য হলে বা জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের খুজেঁ বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে মিরসরাইয়ে খাবারে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে দিয়েছে চোরের দল। ঔষুধ মেশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের আট সদস্য অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। অসুস্থ্যদের উপজেলার মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের মধ্যম মুরাদপুর গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন, আজিম উদ্দিন (৩৫), মেহেরুন্নেছা (২০), সোনিয়া আক্তার (২২), আয়েশা আক্তার ( ৩২), আক্তারুন্নেছা (৬০), মরিয়ম বেগম (৯০), কামরুল হাসান (১৫), আনাছ আল হাসান (১২)। অসুস্থ সবাইকে মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই পরিবারের সদস্য নারগিছ আক্তার (৩৫) জানান, ভোর রাত তিনটার পর সবাই সেহেরি খেয়ে আবার ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ইতোমধ্যে আমার শাশুড়ি নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানে ঢলে পড়ে। আবার অন্যান্যরা ও এখানে সেখানে ঢলে পড়ছে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। এ সময় পাশের ঘরের লোকজনকে বিষয়টি জানালে বাড়ির বাহিরে অপেক্ষমান অচেনা লোকজনদের আনাগোনা লক্ষ করি। কিন্তু এক পর্যায়ে চোরদলকে তাড়া করলে দৌড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে দেখা যায় চোরদল পূর্বে রান্না ঘরের হুক খুলে ঢুকে তা আবার কৌশলে আটকে রেখেছিল।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ জোবায়দুল হুদা বলেন, অসুস্থরা মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ঔষধে আক্রান্ত। তবে বিষাক্ত কিছুর লক্ষণ দেখা যায়নি। চিকিৎসক আরো জানান অসুস্থদের মধ্যে ছয়জন আপাতত আশংকামুক্ত। তবে ওরা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারে। অপরদিকে বৃদ্ধা আক্তারুন্নেছা ও মরিয়ম বেগম এর অবস্থা আশংকাজনক। তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।