- হোম
- >
- ধর্ম ও জীবন
- >
- সেহেরী খাওয়ার ফজিলত
সেহেরী খাওয়ার ফজিলত
হযরত আমর বিন আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন, আমাদের রোজা ও আহলে কিতাব অর্থাৎ (ইহুদী নাসারা) দের রোজার মধ্যে পার্থক্য হইল সেহরী খাওয়া। (মুসলিম)
ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টনরা রোজা রাখে। কিন্তু তারা সাহুর খায়না। এজন্য উম্মাতে মুহাম্মাদীদেরকে তাদের বিরোধিতা করে সাহুরী খেয়ে রোজা রাখতে বলা হয়েছে।
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন, তোমরা সেহরী খাইবে, কেননা সেহরীর মধ্যে বরকত রহিয়াছে।। (মোত্তাঃ)
সাহুর খাওয়াতে বরকত থাকার বিষয়টি অতি সুস্পষ্ট। কারণ এতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাতের অনুসরণ করা হয় এবং সাহুর খাওয়াতে রোজাদার সারা দিন শক্তিশালী থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর সুন্নাত হলো ফজরের কিছু পূর্বে সাহুর খাওয়া। অর্থাৎ দেরীতে খাওয়া।
প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ আহলে কিতাব তথা ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মে রোজারপ্রচলন ছিল, আজ ও তাহারা রোজার সাদৃশ্যে উপবাস যাপন করে, কিন্তু সেহরী খায়না। তাই আমাদের প্রতি নির্দেশ আমরা সেহরী খাইয়া যেন তাহাদের সাদৃশ্য হইতে আলাদা হইয়া পড়ি। শেষ রাএ খাওয়াকে সেহরী বলে, সেহরী খাওয়া সুন্নত। এই খানার মধ্যে কল্যাণ নিহিত রহিয়াছে। তাই প্রয়োজন না থাকিলেও কিছু পানাহার করিতে হয়, নতুবা মাকরুহ হইবে।
সকল মুসলমান ভাই বোনদের অবশ্যই রাসুলুল্লাহ (সা:) এর সুন্নাতকে অনুসরণ করতেহবে, ও রোজা পালনের জন্য সেহরি খেতে হবে, ও ফজরের নামাজ অবশ্যই সঠিক সময়ে আদায় করতে হবে। আল্লাহ্ আমাদেরকে সেই তেীফিক দান করুন। আমীন
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।