শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হলেন যমজ কন্যার মা
এক যমজ কন্যাসন্তানের মাকে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতেই হলো নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে। পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর এই গৃহবধূ ৭মাস ধরেই নির্যাতন-গঞ্জনার শিকার হচ্ছিলেন যমজ কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায়।
হুগলীর সোনারপুরের নয়াবাগের বাসিন্দা অমিত রায়ের সাথে হুগলীর ত্রিবেণীর নিরঞ্জন পল্লীর বিজলি রায়ের বিয়ে হয় ২০১১ সালে। গত বছরের নভেম্বরে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন বিজলিদেবী।
তখন থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। ক্রমেই নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ছাড়িয়ে যায় যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন বিজলি দেবী। গতকাল মঙ্গলবার তিনি চুঁচুড়া আদালতে স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিজলিদেবী বলেন, ‘দুই মেয়ের জন্ম দিয়ে কী অপরাধ করেছি? ওদের জন্মের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাকে এড়িয়ে চলছিল। কোন ওখানে আমার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছিল। তাই বাপের বাড়ি চলে আসি। মেয়েদের কথা ভেবেই আদালতে গিয়েছি।’
বিজলিদেবীর বাবা বলেন, ‘মেয়েদের খাবারের ব্যবস্থাটুকুও জামাই করত না, এতটাই নিষ্ঠুর ছিল।’
স্থানীয় সূত্র মতে, বিয়ের পর থেকে অমিতের সঙ্গে বিজলিদেবীর সম্পর্ক ভালই ছিল। দুই মেয়ের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই অমিত এবং তার পরিবারের লোকেরা বিজলিদেবীর প্রতি খড়গ হয়ে ওঠে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।