মস্তিষ্কে কিছু আইকিউ যোগ করতে পারলে মন্দ হয় না। এ জন্যে বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন মাত্র ৩টি স্মার্ট উপায়। এগুলোর প্রয়োগে আপনিও বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে নিতে পারেন।

১. মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে ‘লুমোসিটি’ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে। নিউরোসায়েন্স বিশেষজ্ঞ মাইকেল স্ক্যানলোন এটি প্রতিষ্ঠা করেন। মজার মজার সব গেমস তৈরি করেন তিনি যা মস্তিষ্কে উর্বরতা দেয়। মনোবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত এসব গেমস খেলার মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটে। বিশেস ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কাজ বৃদ্ধির জন্যে বিশেষ বিশেষ ডিজাইনের গেমস তৈরি করে ‘লুমোসিটি’। গবেষণায় দেখে গেছে, এসব গেম খেললে সমস্যার সমাধান এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক ৪০ শতাংশ উর্বরতা লাভ করে।

২. দৈহিক সুস্থতা মগজের স্বাস্থ্য ভালো করে। ১৯৬০ সালের এক গবেষণায় এর প্রমাণ মেলে। ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কগনিটিভ পারফরমেন্স বৃদ্ধি করা যায়। তবে একেক ধরনের ব্যায়াম একেক ধরনের উপকার করে। ৮৬ জন নারীকে তিনটি দলে ভাগ করে একেক দলকে একেক ব্যায়াম করতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, অ্যারোবিক্স ও ভার উত্তোলনের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের চেয়ে ভার টানার ব্যায়াম যারা করেন তাদের মস্তিষ্ক বেশি উপকারিতা পেয়েছে।

৩. সঙ্গীতের ক্ষেত্রটি মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। গান শোনা যেমন উপাকারী, তেমনি কাজ দেয় কোনো বাদ্য যন্ত্র শেখার কাজ। ২০০৪ সালে মনোবিজ্ঞানী গ্লেন শেহলেনবার্গ তার গবেষণায় এ তথ্য দেন। সঙ্গীত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে- টানা এক বছরের পরীক্ষায় এর প্রমাণ পান গ্লেন। একটি দলকে গানের শিক্ষা দেওয়া হয়। অপর একটি দলকে দেওয়া হয় অভিনয়ের শিক্ষা। অন্য একটি দল এসব শিক্ষার বাইরে থাকে। এক বছর পর দেখা গেছে, সঙ্গীত শিক্ষা যারা পেয়েছে তারা মস্তিষ্কের কাজে ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে।

মস্তিষ্কে একটি জটিল অংশ। এর বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন সময় নানা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় পরিষ্কার হয়ে ওঠে মস্তিষ্কের নানা বৈশিষ্ট্য। ওপরের তিনটি স্মার্ট উপায়ে মগজের স্বাস্থ্যে উন্নতি ঘটে। এর মাধ্যমে আপনিও যোগ করতে পারেন বাড়তি আইকিউ পয়েন্ট। 

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।